বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের নানা অপ্রচার নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতির মতবিনিময়

  |   শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট

মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের নানা অপ্রচার নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতির মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া : কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্থ লোপাটসহ প্রধান শিক্ষক আখতার আহমদের নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে শুরু করে গণমাধ্যমে নানা অপ্রচার করা হচ্ছে। এ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লুনা আক্তারের স্বামী সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা আবু হেনা মোস্তাফা কামাল চৌধূরী। গতকাল দুপুরে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো পেকুয়াতে সাংবাদিকদের সামনে স্কুলের বিগত সময় থেকে শুরু করে বর্তমান অবস্থাসহ প্রধান শিক্ষক আখতার আহমদের স্বেচ্ছাচারিতায় নানা অনিয়মের খতিয়ান তুলে ধরেন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম করি। এ নিয়োগে শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আখতার আহমদ এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। নিয়োগ পরীক্ষায় আখতার আহমদ ৫ম স্থান ও ভাইভা বোর্ডে ১ম স্থান অর্জন করেন। তিনি সৎ ও মেধাবী মনে করে তাকে নিয়োগ দান করি। যোগদানের পর থেকে তিনি সুকৌশলে হিসাব বহিভ’ত নানা অনিয়ম দূণীতির আশ্রয় নিয়েছেন। যা আমি দীর্ঘ দিন ধরে অবগত ছিলাম না। বিশ^াস ঘাতকতা করে তিনি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মাসিক ফি ও অন্যান্য ফি স্কুলের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে নিজ পকেটে রেখে দিতেন। তিনি এক বছরের মোবাইল বিল বাবদ হিসাব বহিভ’ত ৮০ হাজার টাকা সহ ৯৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা অন্য হিসাবে ১২ লক্ষ টাকা লুটপাট করেন। তিনি স্কুলের অফিস সহকারীকে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন। এমনকি তিনি সুকৌশলে শিক্ষকদের বেতন ভাতার বিলে স্বাক্ষর নেওয়ার নামে বা মিটিং এর সম্মানী নেওয়ার বাবদ অর্থ আদায় করার বিষয়টি ভ’য়া। একটি বিলে তিন জনের স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও তিনি তা করেন নাই একটি বিলে তিনি দুইদিকে স্বাক্ষর করে টাকা লুটপাট করেছেন। ৪/৩/১৯ ই্ং ডি আ এ কক্সবাজার ১৯০৮ এস/ চট্ট এর স্মারক নং মূলে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়।

একই সাথে বিগত ২ জানুয়ারী ২০২২ তারিখ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তমতে গঠিত অভ্যন্তরীণ হিসাব নিরীক্ষা কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত অডিট রিপোর্ট ও পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায়, যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনায় বলা হয়েছিল বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের যাবতীয় আয় ব্যয় ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পরিচালনা বিদ্যালয়ের আয় ব্যয়ের হিসাব প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর সদস্যদের নিরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে হিসাব নিরীক্ষা করা বার্ষিক বাজেট অনুমোদনের মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা করা এবং বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় মালামাল ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ক্রয় কমিটির মাধ্যমে ক্রয় করে স্টক রেজিস্টার এন্ট্রি করার নির্দেশনা ছিল। যার কোনটাই প্রধান শিক্ষক অনুসরণ কিংবা বাস্তবায়ন করেন নাই। সে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা করতে গিয়ে বর্তমান প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের আস্থা হারিয়ে বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র অতি গোপনে বিদ্যালয়ের অফিস থেকে সরিয়ে নিজ হেফাজতে নিয়েছেন। যার কোন রেকর্ড অফিসের কোন রেজিস্টারে অন্তভ’ক্ত করে নাই। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আখতার আহমদ এর হাতে অত্র বিদ্যালয় কোন ভাবে নিরাপদ নয়।

বিদ্যালয়ের নিরাপত্তার বৃহত্তর স্বার্থে অত্র বিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পরবর্তী সিদ্ধাšত গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক শহিদুল আলম কে অর্পন করা হয়। তারপরও তিনি স্কুলের নানা কাগজপত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। স্কুলের এসব অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ৪ সদস্য বিশিস্ট কমিটি করা হয়েছে যে কমিটিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসিফ আল জিনাত কে প্রধান করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরিশেষে স্কুলে সুষ্ঠ শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও এলাকাবাসী এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন ভবির্ষ্যতে কেউ মানহানিকর সংবাদ কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রচার করলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

এ দিকে প্রধান শিক্ষক আখতার আহমদ ও তার সহযোগিরা আমার বিরুদ্ধে স্কুলের গুড়িকয়েক ছাত্রছাত্রীদের কে রাস্তায় বের করে একটি প্রতিবাদ মিছিল করে আমাকে জড়িয়ে মানহানিকর শ্লোগান দিয়ে আমাকে হেয়পন্ন করে। আমি প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৮:৪০ | শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com