| বুধবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট
গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারে অংশ নিতে দুই মহানগরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গাজীপুরে ২০ দলের প্রার্থী হাসানউদ্দিন সরকারের পক্ষে ২৭ ও ২৯ এপ্রিল এবং খুলনায় নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পক্ষে ৩ মে থেকে ৫ মে গণসংযোগ ও প্রচারে অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ১৫ মে দুই মহানগরে ভোটকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পর দিন বুধবার রাজধানীর এক হোটেলে ২০ দলের প্রচারণা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠা পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্যে প্রথম ধাপে ভোট হচ্ছে গাজীপুর ও খুলনায়। ২০১৩ সালের নির্বাচনে দুই মহানগরেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদেরকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা।
এবার ভোট হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। ফলে লড়াইয়ের আমেজও ভিন্ন। দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভোটে জিতে তাদের জনপ্রিয়তার প্রমাণ নিতে চাইছে।
তবে ২০১৩ সালে বিজয়ী দুই মেয়রের কাউকে এবার মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি। গাজীপুরে ধানের শীষ পাওয়া হাসানউদ্দিন সরকারকে লড়তে হবে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। আর খুলনায় বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু লড়বেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেকের সঙ্গে।
এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০ দলের সভায় জোটের সমন্বয়কারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় চরম ব্যর্থতা আর ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে গাজীপুর আর খুলনায় বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।’
‘জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়েই তাকে কারাগারে বন্দি করেছে। দেশবাসী সরকারের এই প্রতিহিংসার রাজনীতির জবাব দিতে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে।’
খালেদা জিয়া কারাগারে অনেক অসুস্থ দাবি করে নজরুল বলেন, সরকার তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না।
‘হায়াত মওত আল্লাহর হাতে’-ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যকে ‘ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত’ হিসেবেও দেখছেন নজরুল। বলেন, ‘আমরা সরকারকে সাবধান করে দিতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হলে এবং স্বাস্থ্যের যদি আরও অবনতি হয় তার পুরো দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’
‘সরকারের দুর্বলতার কারণে, অবহেলার কারণে বেগম খালেদা জিয়া যদি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে দেশের জনগণ এ অপরাধের জন্য ক্ষমা করবে না।’
জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব ও গাজীপুর নির্বাচনের প্রচারণা সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টি (জাফর) নেতা আহসান হাবিব লিঙ্কন, লেবার পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, অপর অংশের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ডেমোক্রেটিক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বিজেপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদ, বিএমএল মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, পিপলস্ লীগ মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, সাম্যবাদী দলের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, খেলাফত মজলিসের একাংশের যুগ্ম মহাসচিব শেখ গোলাম আসগর, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।
অন্যদিকে এনপিপি কার্যালয়ে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয় কমিটির অপর এক সভায় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব ও এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ডেমোক্রেটিক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী, বিএমএল মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, পিপলস্ লীগ মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।
Posted ১৭:০০ | বুধবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain