শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভূরুঙ্গামারীতে টানা বৃষ্টিতে জমিতেই গম পচে চারাগাছ গজিয়েছে

  |   সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২ | প্রিন্ট

ভূরুঙ্গামারীতে টানা বৃষ্টিতে জমিতেই গম পচে চারাগাছ গজিয়েছে
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ  কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ২ সপ্তাহের টানা বৃষ্টির কারনে কৃষকের জমিতেই গম পচে গেছে এবং সেই গম থেকে চারাগাছ বের হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। গম চাষে লাভতো দুরের কথা খরচের টাকা তুলতে না পারায় দুঃচিন্তায় পড়েছেন তারা। অপর দিকে টানা বৃষ্টিতে গম শুকাতে না পেরে পাইকারি ব‍্যবসায়ীরা গম কিনে বিপাকে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। গমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটে ওঠেছিল স্বপ্ন পূরণের হাসি।  কিন্তু অসময়ে প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে লাগাতার বৃষ্টির কারনে কৃষকরা গম কাটতে নাপারায় ক্ষেতেই গম থেকে চারাগাছ উৎপন্ন হওয়ায় চাষিরা বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সন্মুক্ষিন হয়েছেন।
উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল জলিল জানান,তিনি প্রায় সাড়ে ৮ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছেন। এরমধ্যে ২বিঘা জমির গম কেটেছেন। ২ বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে প্রায় ৩৬ মণ গম। লাগাতার বৃষ্টির কারণে অবশিষ্ট জমির গম কাটতে নাপারায় জমিতেই গমের চারা গজিয়েছে এবং যে সমস্ত গমের চারা গজায়নি সেগুলো পচে গেছে। তিনি বলেন, সার, পানি ও বীজ বাকীতে নেয়া হয়েছে । গম বিক্রি করে বাকী পরিশোধ করার কথা থাকলেও এখন তিনি দেনা পরিশোধ নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন। একই গ্রামের শহিদুল আলম জানান, তিনি গম কেটে ক্ষেতে শুকানোর জন্য আটি বেধে রেখে ছিলেন। অতিবৃষ্টির কারনে গমের আটি থেকে চারাগাছ বের হওয়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন। ইসলামপুর গ্রামের মিজান শিকদার, আবুল হোসেন, দক্ষিন তিলাই গ্রামের আব্দুর রহমান, একাব্বর আলী সহ অনেক কৃষকের একই অবস্থা। তারা জানান, এইউনিয়নে প্রায় শতাধিক কৃষকের জমির গম নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা দুঃচিন্তায় পড়েছেন।
গমের পাইকারি ব‍্যবসায়ী আমজাদ ও হাফিজুর রহমান জানান, প্রতিমণ গম ৮৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা দরে প্রায় দেড় হাজার মণ কাচা গম কিনে গোডাউনে রাখা আছে। গত ২ সপ্তাহের লাগাতার বৃষ্টিতে গম গুলো রোদে শুকাতে না পারায় গম জমাট বেধে পোকা ধরেছে। কিছু গম পচে গেছে। এতে লাভ তো দূরের কথা আসল তুলতে পারবো কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলার বেশিরভাগ গম কাটা হয়েছে। কিছু গম কাটতে বিলম্ব হওয়ায় বৃষ্টির কারণে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১০:২৯ | সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com