এম.মতিন, চট্টগ্রাম থেকে : ভাইয়ে পক্ষে ভোট দিতে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাতে এসে অস্ত্রসহ রাঙ্গুনিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামি আলমগীর সিকদার (৪২) ও তার ভাই সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর সিকদার (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দিনগত রাতে উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আবিদপাড়া এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, ‘সম্প্রতি দক্ষিণ রাজানগর ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোসলেম সিকদার ও রাজারহাট বাজারে দিনদুপুরে যুবলীগ নেতা আবদুল খালেককে প্রকাশ্যে কোপানোর ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হলে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল শীর্ষ সন্ত্রাসী আলমগীর, বড় ভাই মেম্বার সালাম, মেঝ ভাই জাহাঙ্গীর। আসন্ন আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনকে বড় ভাই পলাতক আসামি আবদুস সালাম সিকদার ও তার স্ত্রী মেম্বার প্রার্থী হলে তাদের পক্ষে ভোট চাইতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আবিদপাড়া এলাকায় এসে অস্ত্রসহ টহল দিচ্ছিল তারা। এ সময় তারা ভাই ও ভাবীকে ভোট দিতে ভোটারদের ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে তাদের বাকবিতন্ডা ও সংঘর্ষ হয়। পরে এলাকার মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ঘিরে ফেলেন।
এ খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম ও রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. মাহবুব মিল্কীর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের সাথে তাদের কয়ক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে গুলি ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ আলমগীর ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও সালাম সিকদারসহ বাকীরা পালিয়ে যায়।
রাঙ্গুনিয়া থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহবুব মিল্কী বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী আলমগীর সিকদারের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি মাদকসহ ডজেনখানেক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধেও ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে মারধরসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলমগীর ও জাহাঙ্গীর সিকদার গ্রেপ্তার হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এলেও অজানা আতঙ্ক কাটছে না এলাকাবাসীর মন থেকে। কারণ আলমগীরের বড় ভাই ডাকাত সালাম সিকদার ও তার বাহিনীর বাকি সদস্যরা এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে পুলিশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সালামসহ তার বাহিনীর বাকি সদস্যদের গ্রেফতার করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে।
Like this:
Like Loading...
Related