| বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের ইতিবাচক ব্রান্ডিং সৃষ্টির এবং বিভিন্ন খাতে অর্জন ও সাফল্য তোলার ক্ষেত্রে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছে। এই সম্মেলনে বাংলাদেশ বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে তা তুলে ধরার ক্ষেত্রেও এই অংশগ্রহণ তাৎপর্যপূর্ণ। খবর বাসসের।
স্থানীয় সময় বুধবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে সিলভারেটা পার্ক হোটেলে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সুইজারল্যান্ডে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ হোটেলে অবস্থান করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসানও বক্তব্য দেন। এতে প্রধানমন্ত্রীর প্রাইভেট সেক্রেটারি সাজ্জাদুল হাসান এবং উপ-প্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পলক বলেন, ডব্লিউইএফ সম্প্রতি যে রেঙ্কিং ঘোষণা করেছে তাতে প্রত্যেকেই গর্ব করে বলতে পারবে যে, ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৬তম স্থানে অবস্থান করছে। এতে আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলমান ডব্লিউইএফ সভায় তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে গত আট বছরের সাফল্য তুলে ধরেছেন। তিনি আরও বলেন, সভায় বাংলাদেশের শক্তিশালী অংশগ্রহণ বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, মন্ত্রী এবং আইসিটি খাতসহ ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট ইনভেন্টর স্যার টিম বার্নারস লি, গুগল কো-ফাউন্ডার সার্জেই ব্রিন এবং আলীবাবা গ্রুপের চেয়ারম্যান জ্যাক ম্যা’র সঙ্গে বৈঠকের পর তারা বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬.৫০ কোটি। ২০২১ সালের মধ্যে সরকার তা একশ’ শতাংশে বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সাফল্যসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো ডাভোসে এসেছেন। ডব্লিউইএফ’র এ সভায় প্রায় ৬০ জন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান অংশ নিয়েছেন।
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সভায় সার্ক, বিমস্টেক, বিবিআইএন ও বিসিআইএন-ইসি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন। শেখ হাসিনা এ ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার কথা তুলে ধরে বলেছেন, দারিদ্র্য এতদঞ্চলের দেশগুলোর অভিন্ন শত্রু।
পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেন, ডব্লিউইএফ সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেছে। এর ফলাফল পরবর্তী সময়ে দেখা যাবে।
Posted ০৬:২৪ | বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain