| শুক্রবার, ১০ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, সরকারকে জাতীয় উন্নয়নের সব পর্যায়ে ধারাবাহিক সহযোগিতার জন্য এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত এবং বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে।
ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে সমন্বিত উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে সেনাবাহিনীর আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী বিশেষ প্রশিক্ষণ ‘উষার দুয়ারে-১’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভূমিকম্পে বাংলাদেশের ঝুঁকির বিষয়টি সবারই জানা। ২০১৫ সালে নেপালে ভূমিকম্পে ১৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আমরা জানতে পারব না, পরেরটা কতটা নিকটে হবে, এমনকি বাংলাদেশেই হবে কি না। পরবর্তী ভূমিকম্প কত মাত্রায় আমাদের উপর আঘাত হানবে, সেটাও আমরা জানি না। এটা মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।
ভূমিকম্প মোকাবেলায় জাতির পুরোটা সামর্থ্য কাজে লাগাতে সবাইকে সচেতন করার উপর জোর দেন তিনি।
জেনারেল আজিজ বলেন, জাতির যে কোনো দুর্যোগে সাড়া দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্ষিপ্র এবং কর্মনিষ্ঠই আছে। ভবিষ্যতে দুর্যোগকালে মানুষকে ফলপ্রসূ সেবা দিতে সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের এক মঞ্চে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এছাড়াও ছিলেন আর্মি ওয়ার গেম সেন্টারের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তোফায়েল আহমেদ।
সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড ও আর্মি ওয়ার গেম সেন্টারের ব্যবস্থাপনায় আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ হয়। বাংলাদেশে এটিই প্রথম ভূমিকম্পের ওপর কম্পিউটারভিত্তিক প্রশিক্ষণ। বৃহস্পতিবার হয় এর সমাপনী অনুষ্ঠান।
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউটস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, তিতাস গ্যাস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, ডেসকো, আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা সিভিল সার্জন অফিস, পিডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা এই প্রশিক্ষণে অংশ নেয়।
গত ৫ অগাস্ট এই আয়োজন উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
Posted ১৪:৩৩ | শুক্রবার, ১০ আগস্ট ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain