| সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ | প্রিন্ট
বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে রাষ্ট্রের জন্য সমূহ বিপদ তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও দলের সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
তিনি বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা প্রলম্বিত করার লক্ষ্যে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একমাত্র বাধা বলে মনে করে।
সোমবার (৮ জুলাই) জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালি বিধির ৭১ বিধিতে জরুরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তাকে কারাগারে আটকে রেখে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ মামলার মেরিট, তার বয়স, শারীরিক অবস্থা, সামাজিক অবস্থান, জেন্ডার- যে কোনো বিবেচনায় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী জামিন তার অধিকার। তিনি যাতে সহজেই মুক্তি না পান তাই একটির পর একটি মামলা, নতুন নতুন মামলা, মিথ্যা মামলা তার সামনে আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ১/১১ সরকারের সময়ে মামলা হয়েছে দুই বৃহৎ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমিটি করে তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো তুলে নিয়েছে। একদিকে পুরনো মামলায় বিএনপির ২৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নতুন করে যুক্ত হয়েছে এক লাখ মামলা। নতুন করে মামলার নামে এক অদ্ভুত মামলা শুরু হয়েছে। নির্বাচনের আগে মৃত ব্যক্তি, বিদেশে থাকা ব্যক্তি, ঘটনা ঘটার আগেই মামলা- এই ধরনের অদ্ভুত সব মামলা করা হয়েছে গায়েবি মামলার অধীনে।
রুমিন ফারহানা বলেন,আইনের শাসন আর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেছেন, দেশে আইনের শাসন নেই। সরকার নিম্ন আদালতকে কব্জা করে এখন হাত বাড়িয়েছে উচ্চ আদালতের দিকে। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের কারণে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। সেই রায়ে তিনি বলেছিলেন, ডুবন্ত বিচার বিভাগ কোন রকমের নাক উঁচু করে টিকে আছে।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানকে যে বিচারক নিম্ন আদালতে খালাস দিয়েছিলেন তাকে পরে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। সংবিধানের ১১৫ এবং ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচার বিভাগ এখনও কার্যত সরকারের অধীনেই রয়ে গেছে। সেপারেশন অব পাওয়ার অনেকটা সোনার পাথর বাটির মতো।
Posted ২১:৫৫ | সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain