| বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গত পরশুদিন হাইকোর্টের সামনে বিএনপি যেভাবে আমার গাড়ি ভাংচুরে নামলো, এতেই প্রমাণিত হয় পেট্রোল বোমার রাজনীতি থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারেনি। সুযোগ পেলেই তারা (বিএনপি) ছোবল দেবে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম বিএনপি ভাংচুর, সন্ত্রাসী, পেট্রোল বোমার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসেছে বা আসবে। কিন্তু, গত পরশুর ঘটনা প্রমাণ করে কয়েকদিন বিরতি দিলেও তাদের যে মূলনীতি, সন্ত্রাস, ভাংচুর, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ, পেট্রোল বোমার রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসেনি। সেটিরই বহিঃপ্রকাশ তারা সেদিন হাইকোর্টের সামনে দেখিয়েছে। অর্থাৎ সুযোগ পেলেই তারা (বিএনপি) ছোবল দেবে। বিএনপি যদি সন্ত্রাস আশ্রয়ের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে না আসে, তাহলে আজ তা যে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, এটি আরও বাড়বে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সমসাময়িক ইস্যুতে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বলে মনে করি না। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা দুর্বল হয়ে গেছে। বিএনপি রাজনীতির যে পথ অনুসরণ করছে, জনগণকে জিম্মি করা, আক্রমণ করা, গাড়ি ভাংচুর, বোমা নিক্ষেপ- এগুলোর কারণে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার রায়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া না আসার সমালোচনা করেন ড. হাছান মাহমুদ। বলেন, অতীতে যখনই জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তখনই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। এমনকি বেগম খালেদা জিয়া কিছুদিন আগে বলেছেন, কিছু লোককে ধরে নিয়ে আটক করে রাখা হয় আর তাদের চুল-দাড়ি লম্বা হয়ে গেলে জঙ্গি হিসেবে চালিয়ে দেয় সরকার। খালেদা জিয়ার মতো একজন ব্যক্তি যিনি দেশের দু’বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, দু’বার বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন, সংসদে তিনি এ ধরনের দায়িত্বহীন কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবসহ তাদের শীর্ষ নেতারা সবাই যখনই কোনো জঙ্গির বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তখনই প্রশ্ন তুলেছেন। অর্থাৎ জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তারা প্রশ্রয় দিয়েছেন, সহায়তা করেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, বিএনপির ২০ দলীয় জোট ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে কয় দলীয় জোট আছে সেটা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানেন কি-না জানি না। এই জোটের বহু নেতা আছেন তারা মনে করেন এবং তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি তালেবান রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করা। বুধবার হলি আর্টিজানের যে ঐতিহাসিক রায় হয়েছে, এটি শুধু বাংলাদেশে জঙ্গি নির্মূলের সহায়ক হবে তা নয়, এ রায় বিশ্ব প্রেক্ষাপটেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মানুষ এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে, বিএনপি এ রায়কে স্বাগত জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় তারা শুধু সন্ত্রাস-আশ্রয়ী রাজনীতি করে না। তারা যে জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, তারা সেই রাজনীতি থেকেও বেরিয়ে আসেনি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
হলি আর্টিজানের রায়ের পর এক আসামির মাথায় আইএসের টুপি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন, এটা নিয়ে এর বাইরে আমি কিছু বলতে চাই না। দেশে আমরা যেভাবে জঙ্গি দমন করতে পেরেছি, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোও সেভাবে পারেনি। সুতরাং এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া জঙ্গিদের কাছে টুপি পৌঁছানোর কোনো সুযোগ নেই, কারও কারও এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেটি এখনই বলা সমীচীন হবে না। কারণ বন্দিদের টুপি দেওয়া হয়, সেই টুপিতে তারা নিজেরা এঁকেছেন কি-না সেটিও দেখতে হবে। সুতরাং এটি যেহেতু তদন্তাধীন, এ নিয়ে এই মুহূর্তে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।
Posted ১৫:৫৫ | বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain