| বুধবার, ০৮ জুন ২০২২ | প্রিন্ট
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি কারও দেহত্যাগে বিশ্বাস করে না। আমরা বিশ্বাস করে সরকারের পদত্যাগে। দেশটাকে বাঁচতে দিন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন।
আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। গ্যাসসহ নিত্যপণের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক দল।
গয়েশ্বর বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কয়েকদিন আগে এক সভায় বলেন ৭ নভেম্বরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। সেটাকে সরকারের লোকেরা বলতে চায়, তাদের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। জাতীয়তাবাদী দল কোনো খুনিদের দল না। খুন খারাবি বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে জনগণের সারিতে এসেছেন। ৭ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমী শক্তির একটি অনুপ্রেরণা স্লোগান। এর চেতনা গণতন্ত্রের মুক্তির চেতনা।
গয়েশ্বর বলেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনারা বলছেন, আপনাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা মারার হুমকি দেবো কেন? এ অভ্যাস আমাদের নেই, আপনাদের আছে।
নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে জনগণের ১২টা বাজিয়েছে। আপনাদের (সরকারের) ১২টা তো অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
অর্থাৎ কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোট দিয়ে অতীতেও আপনারা নির্বাচিত হতে পারেননি, ভবিষ্যতেও পারবেন না। অতীতের মতো ফ্যাসিবাদী পুলিশ দিয়ে রাতের বেলা ভোট ছিনতাই করে আর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়লো। জিনিসের দাম বাড়লে শুধু ক্ষমতা দিয়ে সংসার চলে না।
সমাবেশে ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, এই সরকার ক্ষমতা টিকে থাকতে সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। গতকাল চট্টগ্রামে জুনায়েদ সাকির ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগের গুণ্ডা বাহিনী। এভাবে দমন পীড়ন করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, আন্দোলনের প্রস্তুতি নেন। এই সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আবারও গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।
দেশে চলমান দ্রব্যমূল্যের অস্থির অবস্থা নিয়ে আমান উল্লাহ আমান বলেন, বর্তমানে গ্যাসের দাম, চালের দামসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম বেড়েছে। অথচ এই সরকার বলেছিল মানুষকে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবে। ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কিন্তু কোথায় সেই ১০ টাকা কেজির চাল। এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলেই আজকে গ্যাসের দাম বাড়ছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
Posted ১২:৫৭ | বুধবার, ০৮ জুন ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain