| শনিবার, ১০ মে ২০১৪ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক : সব দোষ বিএনপি-জামায়াতের ওপর না দিয়ে নিজ দলকে আত্মশুদ্ধির পথ বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ‘অ্যাটরোসিটিজ অন মাইনরিটিজ ইন বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। বইটিতে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এ বছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
নিজ দলের প্রতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘সব দোষ জামায়াতের কাঁধে দিলে হবে না, বিএনপির কাঁধে দিলে হবে না। নারায়ণগঞ্জের ঘটনা দেখেন নাই? আত্মশুদ্ধির পথ বাছতে হবে। মানুষের মুখ বন্ধ রাখতে পারবেন না।’
সুরঞ্জিত বলেন, ‘সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ নেই। রাষ্ট্র, সমাজ সব খানে সাম্প্রদায়িকতা আছে। কিন্তু এর নিরসনে প্রচেষ্টা নেই।’ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একটা ঘটনারও সুষ্ঠু বিচার হয়নি।
অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। তারাই সব সময় যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিকশিত না হওয়ার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।’
রেহমান সোবহান বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক। এ কারণে অন্যান্য দল এ শক্তিকে বিবেচনায় আনে না। অসাম্প্রদায়িক শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগকে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।’ সংখ্যালঘুদের সমস্যা নিরসনে শক্তিশালী কমিশন গঠনের আহ্বান জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘মহাজোট সরকার সংখ্যালঘুদের যথার্থ নিরাপত্তার দিতে পারেনি, এ কথা স্বীকার করতে বাধা নেই।’ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকে ‘পরিকল্পিত ও রাজনৈতিক’ ঘটনা হিসেবে ব্যাখ্যা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের
সভাপতি উসাতন তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক বিভাগের শিক্ষক ইমতিয়াজ আহমেদ ও সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মহিউদ্দিন আহমেদ।
Posted ১৩:৩৫ | শনিবার, ১০ মে ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin