| মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট ২০২২ | প্রিন্ট
বিএনপি আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয় বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
আজ নিজ বাসভবনে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা। প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি, এখনও দিচ্ছে না।
এসময় বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনও দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সাথে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তারা সন্ত্রাস নির্ভর হয়ে পড়েছে।
জনগণের সম্পদ এবং স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের পথ পরিহারের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে।
‘কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র’ এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যা বলে করে তার বিপরীত। নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলে অথচ এর সবকয়টি তাদের হাতে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
বিএনপির দ্বিচারিতা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট- এরকম মন্তব্যও করেন কাদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ‘তাই বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে’- বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট করে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা অতীতে প্রমাণ করতে পারেনি, আমরা রাজনৈতিকভাবে সকল কর্মসূচি মোকাবিলা করব।
কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার কঠোরভাবে দমন করবে বলে হুঁশিয়ার করেন সেতুমন্ত্রী।
একইসঙ্গে ‘বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া, তাই তাদের কোনো অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না’- এমন হুঁশিয়ারও দেন ওবায়দুল কাদের।
জ্বালানি তেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘যারা এতদিন অন্ধ সমালোচনা করেছে এখন তাদের মুখ বন্ধ কেন? বিশ্ব পরিস্থিতির চাপে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয় তখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, এই মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক, সময় হলে মূল্য বৃদ্ধি সমন্বয় করা হবে। শেখ হাসিনা সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝেন বলেই তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন।’
Posted ১০:২০ | মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain