| মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে শান্তিনগরের বাসা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।এরআগে পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর বাসায় পুলিশী তল্লাশী চলায় বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
এদিকে গয়েশ্বরের গ্রেফতারকে সরকারের ভয়ঙ্কর পরিকল্পনার অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টায় রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন্তব্য করেন।
সরকার অশুভ পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে একটি জাল নথি তৈরী করে একটি ভুয়া মামলায় তাকে বারবার আদালতে হাজির করা হচ্ছে। এই হাজির করার মধ্যে দিয়ে তাকে যে হয়রানি করা হচ্ছে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে সেই মামলায় কি রায় দেবে, তা নিয়ে গোটা জাতি উদ্বিগ্ন। কারণ গোটা জাতি জানে, একটা ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় বেগম জিয়াকে হয়রানি করে এখন মামলা চূড়ান্ত পর্যায় নিয়ে এসেছে।
এর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পন্থায় প্রতিরোধ করতে জাতীয়তাবাদী শক্তি প্রস্তুত। এই রকম মুহুর্তে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করা সরকারের ভয়ঙ্কর পরিকল্পনার একটি অংশ। আর এটি সরকারের শেষ মরণ কামড়। এই মরণ কামড় দিয়ে কোন লাভ হবে না। আপনার (সরকার) সকল অপকর্ম এদেশের জনগণ ব্যর্থ করে দেবে- বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একজন জাতীয় নেতা। মন্ত্রীত্ব করেছেন এবং যুব দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব করেছেন। এধরনের একজন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া কোন সভ্য দেশের লক্ষণ মনে হয়? মনে হতে পারে না।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করে কি ভাবছেন গোটা দেশ ও জাতীয়তাবাদী শক্তি ভয় পেয়ে যাবে? বরং এর মাধ্যমে দেশের মানুষ প্রতিরোধ করতে ক্ষোভে এবং বিক্ষোভে ফেটে পড়বে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, গয়েশ্বর কি কোন সন্ত্রাসী ও অপকর্মের সাথে লিপ্ত ছিলেন। তিনি বিএনপির করেন এবং একজন দক্ষ সংগঠক। কিন্তু এই গ্রেফতারের মাধ্যমে কি বার্তা দিলেন। বার্তা দিতে চাইলেন, আমরা যা বলবো, তাই করতে হবে। কিন্তু তা হবে না।
তিনি বলেন, এখন আমরা খবর পেলাম স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর বাসায় পুলিশী তল্লামী চলছে। এর মানে কি? একটা সিন্ডিকেট কাজ চলছে। একটা পরিকল্পনা অনুযারি সরকারের নীলনকশার কাজ চলছে।
রিজভী গয়েশ্বরের মুক্তি ও শফিউল বারী বাবুর বাসায় পুলিশী তল্লাসী বন্ধ করারর আহ্বান জানান এবং অবিলম্বে গয়েশ্বরকে তার পরিবার ও দলের কাছে ফেরত দিতেও পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
Posted ১৯:২৫ | মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain