বাউবি, টিটিসি, রাজশাহী ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের চরম অব্যবস্থাপনার ও আর্থিক কেলেংকারির জন্য ২০১৯ সালের এমএড পরীক্ষার ১৫০ শিক্ষার্থীর সবার ফলাফলে ইনকমপ্লিট (আইসি) আসার নেপথ্যে চমকপদ সংবাদ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের জানা গেছে, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত ২০১৯ সালের এমএড পরীক্ষার ফলাফল সদ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দেখা যায় আঞ্চলিক কার্যালয়, রাজশাহী ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজ হতে নওগাঁ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ,রাজশাহী সহ যে সকল পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছে তাদের ১৫০ জন শিক্ষার্থীর সবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ইনকমপ্লিট (আইসি) দেখাচ্ছে। এটি চরম অব্যবস্থাপনা এবং সমাধান সূদর পরাহত। সময় মতো কেন্দ্রের খরচ না দেওয়ার জন্য প্যাকটিক্যাল নম্বরের তথা প্রেরণ না করায় সবার ফলাফল শীটে ইনকমপ্লিট( আইসি) এসেছে বলে জানা গেছে। এ-র দায় কে নেবে…? ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের প্রশ্ন।
ফলাফল প্রকাশের পর হতে সকল শিক্ষার্থী এ ব্যাপারে টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, রাজশাহী এর অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শওকত আলী এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সমস্যা ছিল বর্তমানে তা সমাধান স্বরূপ ফলাফল শীট উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রুততার সাথে সঠিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তিনি আঞ্চলিক কার্যালয়, রাজশাহীতে যোগাযোগের জন্য পরামর্শ দেন। এছাড়া রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, রাজশাহী এর এম ( মাস্টার্স) প্রোগ্রামের দায়িত্ব থাকা প্রভাষক জনাব মোঃ শাহিনুর রেজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাজশাহী টিটিসির ফলাফলের বিষয়ে কোন ব্যর্থতা নেই। টিটিসি, রাজশাহী কর্তৃপক্ষ সকল শিক্ষার্থীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ইনকমপ্লিট (আইসি) এর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
আঞ্চলিক কার্যালয়, রাজশাহীতে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তাদের নিকট আবেদন আকারে জমা দেওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান পাওয়া যায় নি। অপরদিকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কম্পিউটার শাখায় টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা এখন পর্যন্ত কোন সমাধান দিতে পারেন নি। তবে উনারা অনলাইনে সমাধান আসবে বলে কেবল আশ্বাস দিয়ে বলছেন,
কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সাথে বিষয়টির সমাধান করবেন।
বিষয়টির সত্যতা নিরুপন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শীঘ্রই সব শিক্ষার্থীর ফলাফল শুদ্ধভাবে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবরা।