| শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
দাবি আদায়ের নামে যে ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে তা কোনভাবেই গণতন্ত্রের সহায়ক নয় বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের সহিংসতা পরিহার করে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের পথ সুগম করতে অতিসত্বর একটি গঠনমূলক সংলাপ শুরুর তাগিদ পুনরায় দিলো যুক্তরাষ্ট্র। সমঝোতার মাধ্যমে এমন একটি নির্বাচনের পথে যেতে হবে যেখানে বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে-তেমন একটি পরিবেশ তৈরীতেও সংশ্লি¬ষ্টদের কাজ করতে হবে। এ বিষয়টি এখন খুবই জরুরী বলেও যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে।
৬ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সহিংস আচরণে ওয়াশিংটন প্রশাসনসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বে সৃষ্ট উদ্বেগ-উৎকন্ঠার উদ্ধৃতি দিয়ে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি বা মতামত কী তা জানতে চান একজন সাংবাদিক। এর জবাবে মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র মেরি হার্ফ আরো বলেছেন, ‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে ধরনের সংঘাত-হিংস্রতা চলছে এবং ইতিমধ্যেই আমরা যেসব দেখছি-তা যারাই করুক না কেন. তা কোনভাবেই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নয়। এহেন আচরণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এসব অবশ্যই এক্ষুণি বন্ধ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবশ্যই সকল রাজনৈতিক দলের মতামত অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রকাশের অধিকার রয়েছে। তাই আমরা বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান রাখছি গঠনমুলক সংলাপের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাবার পন্থা অবলম্বনের চেষ্টা করার জন্যে।’
এর আগের দিন বেলজিয়ামে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক শুনানীতে ইপিপি গ্র“পের সদস্যরাও সংশি¬ষ্ট সকলের মধ্যে সংলাপের তাগিদ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন যে, আন্দোলনের নামে চলমান সহিংসার আড়ালে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটতে পারে।
এদিকে, নিউইয়র্কের দল-নিরপেক্ষ প্রবাসীরাও আশা করছেন সংঘাতের পথ পরিহার করে সংশ্লিষ্ট সকলে উদ্ভূত পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ অবসানে একটি সমঝোতায় উপনীত হবেন।
Posted ১৫:২৩ | শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin