শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে কেউ আর অবহেলার সাহস পায় না: প্রধানমন্ত্রী

  |   মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট

বাংলাদেশকে কেউ আর অবহেলার সাহস পায় না: প্রধানমন্ত্রী

অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই দেশ। কেউ বাংলাদেশকে আর অবহেলা বা করুণা করার সাহস পায় না।

মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বসভায় আমরা মর্যাদা অর্জন করেছি। এখন আর দরিদ্র্য বলে কেউ আমাদের অবহেলা করতে পারে না। এখন আর কেউ করুণা করার সাহস পায় না।’

‘আমরা আমাদের নিজস্ব প্রচেষ্টায় একটা মর্যাদা অর্জন করেছি। আমরা চাই এই মর্যাদাটা ধরে রেখে আমরা এগিয়ে যাব বিশ্ব সভায়।’

অনুষ্ঠানে ভাষা সৈনিক থেকে শুরু করে সঙ্গীত, নৃত্য, সাহিত্য, অভিনয়, চিত্রকলায় অবদানের জন্য ২১ জনের হাতে একুশে পদক তুলে দেয়া হয়।

পাকিস্তান আমলে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা হিসেবে বাংলার মর্যাদা অর্জনের লড়াইয়ে শহীদদের স্মরণে এই দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয় বাংলাদেশে। ১৯৯৬ সালের পর জাতিসংঘ দিবসটির স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে গোটা বিশ্বে। আর প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারির আগে রাষ্ট্রীয় মর্যাদাপূর্ণ পদক তুলে দেয়া হয়। এবার যারা পদক পেয়েছেন তারা হলেন- ভাষা সংগ্রামী মো. ত্বকীউল্লাহ (মরণোত্তর), চিকিৎসক অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম, সঙ্গীতজ্ঞ শেখ সাদী খান, সুজেয় শ্যাম ও ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, সঙ্গীত শিল্পী খুরশীদ আলম, সেতার বাদক মতিউল হক খান, নত্যশিল্পী মীনু হক, অভিনেতা হুমায়ূন ফরিদী (মরণোত্তর), আবৃত্তিকার, অভিনয় শিল্পী ও নাট্য নির্দেশক নিখিল সেন, চিত্র শিল্পী কালীদাস কর্মকার, আলোকচিত্র শিল্পী গোলাম মোস্তফা, সাংবাদিক ও ভাষা সংগ্রামী রণেশ মৈত্র, ভাষা সৈনিক জুলেখা হক, অর্থনীতিবিদ মইনুল ইসলাম, চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কবি সাইফুল ইসলাম খান (হায়াৎ সাইফ), ভাষা ও সাহিত্যে সুব্রত বড়ুয়া, রবিউল হোসাইন, শিশু-কিশোর সাহিত্যিক খালেকদাদ চৌধুরী (মরণোত্তর)।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করে বলেন, অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি।

যে কোনো জাতিকে ধ্বংস করবার জন্য প্রথম আঘাত সংস্কৃতির ওপর আসে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানিদের কিছু প্রেতাত্মা এখনও এই মাটিতে রয়ে গেছে। যারা ওই প্রভুদের ভুলতে পারে না বলে আমাদের ঐতিহ্যের ওপর আঘাত আসে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভাষা, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ঐহিত্য যেন আমরা ভুলে না যাই। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে গেলে আমাদের হয়ত অনেক ভাষা শিখতে হবে, অনেক কিছু জানতে হবে, প্রযুক্তি ব্যবহার শিখতে হবে। কিন্তু আমাদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে।’

‘আমরা সব সময় এটাই চাই, যে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের যে অর্জন না যেন কোনো মতেই নস্যাৎ না হয়।’

‘আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের অনেক ঐতিহ্য রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের সংস্কৃতি, ঐহিত্যগুলো তুলে ধরার সুযোগ আমাদের আছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই বিশ্ব দরবারে একটা মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে। যে বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্যে জর্জরিত ছিল, আমাদের প্রচেষ্টায় আমরা তার থেকে অনেকটা মুক্তি পেয়েছি। কিন্তু আমরা চাই, যদি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি, তাহলে কারও কাছে ভিক্ষা করে চলব না, বিশ্ব দরবারে সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে চলব।’

শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতির সকল ক্ষেত্রে অনেক রত্ন সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জানিয়ে তাদেরকে খুঁজে খুঁজে নিয়ে এসে মর্যাদা দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘এই মর্যাদাটা দেয়া এ জন্য যে আমাদের আগামী প্রজন্ম যেন আমাদের এই ঐহিত্যগুলো ধরে রাখতে পারে, আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে পারে, আমাদের শিল্প সাহিত্যকে ধরে রাখতে পারে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৮:৪৯ | মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com