| বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
বরগুনা জেলা প্রতিনিধি : স্বামীর অধিকার পেতে মীম (১৯) নামের এক ভূক্তভোগী কিশোরী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে বিপাকে পরেছেন। মামলার আসামী শিমুল জেল কারাগারে থাকায় প্রায় দু’মাস যাবতৎ বাদী মীমকে বউ হিসেবে ঘরে তুলে নেন আসামীর পরিবার। এসময় তাকে (মীমকে) ঘরে আটকিয়ে ভয়ভীতি ও বিয়ের আশ্বাসে বাদীকে দিয়ে নোটারীর মাধ্যমে জামিনে বের করে আনা হয় আসামী শিমুলকে। জেল থেকে বের হয়ে বাদী মীমকে ঘর থেকে বের করে দেন আসামী শিমুল ও তার পরিবার। এছাড়া আসামীরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন মীম।
মামলার বাদী মীম বরগুনা সদর উপজেলার ২নং গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা গ্রামের মৃত ছিদ্দিক হাওলাদারের মেয়ে। অাসামীরা হলেন, মোঃ শিমুল, মজিদ হাওলাদার, মামুন, খোকন, শাহীন, মোশ্বেদা বেগম, জাহনারা, ছালমা ও মনি। তারা সবাই একই ইউনিয়নের সোনালীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, প্রথমে প্রেম ও পরে বাংলা বিয়ে সম্পন্ন শেষে চার বছরের সংসারে দুই বার গর্ভপাত করানো হয় বাদীকে। এরপর প্রথম স্ত্রীকে বাদ দিয়ে অন্যত্র বিয়ের জন্য বরগুনা কাজী অফিসে গেলে বাদীর অভিযোগে শিমুলকে আটক করে থানা পুলিশ। আর এ অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন মীম।
মামলার বাদী মীম জানান, আমার দেয়া অভিযোগে বরগুনা থানা পুলিশ আসামী শিমুলকে গ্রেফতার করে। আমাকে বিভিন্ন ভাবে জোর করে আসামীকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন শিমুলের পরিবার। মীম আরো বলেন, গত ৪ বছরে স্বামী শিমুল আমাকে শারিরীক নির্যাতন ও দুই বার পেটের বাচ্চা নষ্ট করেছে। এখন আমাকে বউ হিসেবে মানছে না স্বামী শিমুল ও তার পরিবার। প্রশাসনের কাছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি।
এ প্রতিনিধি ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে মামলার আসামী শিমুল ও তার বাবা মজিদ হাওলাদার বলেন, আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কু-চক্রী মহল ওই মেয়েটিকে দিয়ে মামলাটি করিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানিনা। তাছাড়া ওই মেয়েটির সাথে আমরা মিশে গেছি।মামলার তদান্তাধীন কর্মকর্তা বরগুনা থানার এসআই সামসুন্নাহার জানান, মীম বাদী হয়ে যে মামলাটি করেছে সেই মামলাটির বর্তমানে তদন্ত চলছে।
Posted ১৪:৩৬ | বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin