শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রোটিয়াদের আত্মসমর্পণে ফাইনালে ভারত

  |   শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট

image_75498_0
জহির ভূঁইয়া, ঢাকা:  কোনো আসরের বড় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা থাকা মানে দর্শকদের বিশেষ কৌতূহল। সেই কৌতূহলের কারণটি হলো, এ ধরনের উত্তেজনার ম্যাচে প্রোটিয়াদের আত্মসমর্পণ। ওয়ানডে হোক, কি টি-টোয়েন্টি হোক. দাপটের সঙ্গে সেমিতে ওঠে কিংবা কদাচিত ফাইনালে, এরপর দিশা হারায় তারা। শুক্রবারের দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত ম্যাচটিও এর ব্যতিক্রম ছিল না। নিজেদের গায়ে লেপটে থাকা চুকার অভিধা ঝেড়ে ফেলতে পারেনি প্রোটিয়ারা। এই উত্তেজনার ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে ধোনির ভারত। রোববার ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার।

টি-২০ ফরমেটে দক্ষিণ আফ্রিকার চূড়ান্ত পর্বে খেলার রেকর্ড নেই। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার টি-২০ আসরের  সেমির গন্ডিতে পা রেখেছে ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত দুবারই সফল হলেও  আফ্রিকানরা পারেনি চুকার অপবাদ ঘোচাতে। ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের  চ্যাম্পিয়ন ভারত  এবার নিয়ে  দ্বিতীয়বারের মতো টি-২০ আসরের ফাইনাল খেলছে।

রোববার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের আগে শুক্রবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বেশ স্বচ্ছন্দে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে ভারত। ৫ বল বাকি থাকতেই তারা পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। চার উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৬।

এর আগে টস জেতা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করে নিজেদের ইনিংসে চার উইকেটে তোলে ১৭২ রান।

১৭৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভারতের শুরুটা মন্দ হয়নি। উদ্বোধনী জুটি শরমা ও রেহানে পিটিয়ে খেলে ৩.৫ ওভারে তুলে নেন ৩৯ রান। এ সময়ে ১৩ বলে ২৪ রান করা শরমা হ্যানড্রিকসের বলে ডু প্লেসিসের হাতে ধরা পড়েন।

অপর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রেহানে তখন ১৩ রানে। তার সঙ্গে যোগ দেন বিরাট কোহলি। এই জুটি দলকে নিয়ে যায় ৭৭ রানে। ব্যক্তিগত ৩২ (৩০) রানে রেহানে আউট হন পারনিলের বলে।

এরপর কোহলির সঙ্গে যোগ দেন যুবরাজ সিং। তিনি ১৮ রান করে ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন রাইনা। এ সময় দলের রান তিন উইকেটে ১৩৩। যুবরাজের উইকেটটি নেন তাহির।

এরপর কোহলি ও রাইনা ঝড়ো গতিতে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন লক্ষ্যের দিকে। ১০ বলে ২১ রান করে রাইনা ফিরে গেলে কোহলির সঙ্গী হন অধিনায়ক ধোনী।  ভারত তখন জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে। স্কোর চার উইকেটে ১৬৭। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ১ রান।  ওভারের প্রথম বলে চার মেরে কোহলি দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। ধোনী তিন বল খেলে শূন্য এবং কোহলি ৪৪ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে শুরুতে হোঁচট খায় প্রোটিয়ারা। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই তারা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডি কককে হারায় দলীয় ৯ রানে। কুমারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন এই ওপেনার।

দ্বিতীয় উইকেটে অপর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আমলার সঙ্গে ডু প্লেসিসের জুটি দলের এই প্রাথমিক ধাক্কা কিছুটা কাটিয়ে তোলে। তারা অবিচ্ছিন্ন থাকেন দলীয় ৪৪ রান পর্যন্ত। এ সময় (৫.১ ওভার) ব্যক্তিগত ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন আমলা। তাকে বোল্ড করেন অশ্বিন। এরপর ক্রিজে আসেন ডুমনি।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ডু প্লেসিস ও ডুমনি দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অনেকটা পথ। ভারতীয় স্পিনকে নিয়ে যত ভয় ছিল আফ্রিকানদের, সেই স্পিনকে এই জুটি ভালোই সামাল দিয়েছে। ডু প্লেসিসের  পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ফিফটি চলে আসে ৩৬ বলে (৫ চার ও ১ ছয়)। তাদের যখন ভারতীয় বোলিং বিচ্ছিন্ন করে, ততক্ষণে তারা গড়ে তুলেছেন  ৭১ রানের জুটি। দলীয় রান ১৩.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৫।

ডু প্লেসিস ব্যক্তিগত ৫৮ (৪১) রানে অশ্বিনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন্ ডি ভিলিয়ার্স। তবে ভিলিয়ার্স বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ৮ বল মোকাবিলা করে ১০ রানে আবার অশ্বিনের শিকার হন। এ সময় ১৫.৩ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল চার উইকেটে ১২৯।

এরপর পঞ্চম উইকেটে ডুমনির সঙ্গে জুটি বাধেন মিলার। শেষ পর্যন্ত খেলে তারা দলকে নিয়ে যান ১৭২ রানে। ডুমনি ৪৫ রানে ও মিলার ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

বৃহস্পতিবার প্রথম সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা। আজকের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী দলের সঙ্গে তাদের মোকাবিলা হবে রোববার।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২০:০৬ | শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০১৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com