| সোমবার, ০৪ জুলাই ২০২২ | প্রিন্ট
শেরপুর প্রতিনিধি : প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে শেরপুরের নকলায় সোহাগী আক্তার (২২) নামে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৪ জুলাই ) ভোরে নকলা পৌরসভার কায়দা-বাজারদি মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহাগী আক্তার ওই মহল্লার হোটেল শ্রমিক শহীদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি স্থানীয় সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এসময় সোহাগীর বাবা শহীদুল ইসলাম (৫০) ও ছোট ভাই সবুজ মিয়া (১৭) আহত হয়। ঘটনার পর প্রেমিক আরিফুল ইসলামকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের পূর্ব শিয়ারচর লালখাঁ গ্রামের আলী হোসেন ব্যাপারীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচ মাস আগে মোবাইলে আরিফুলের সঙ্গে সোহাগীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক সময় আরিফুল নকলায় এসে সোহাগীর সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু আরিফুলকে দেখে সোহাগীর পছন্দ না হলে তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। একপর্যায়ে সোহাগী আরিফুলের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এতে আরিফুল ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল রোববার রাতে নকলায় এসে সোহাগীর বাড়িতে ওত পেতে থাকে। সোমবার ভোরে সোহাগীর বাবা শহীদুল বাড়ির মেইন দরজা খোলে ঘর থেকে বের হতে চাইলে আরিফুল অতর্কিত হামলা চালিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। এসময় শহীদুলের ডাকচিৎকারে সোহাগী ও তার ছোট ভাই সবুজ এগিয়ে এলে আরিফুল তাদেরও ছুরিকাঘাত করেন।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা আরিফুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে আহতদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় শহীদুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান জানান, মোবাইলে তাদের কথা হতো । কিছু দিন আগে নিহত সোহাগীর সঙ্গে আরিফুল ইসলামের সামনা-সামনি দেখা হয়। পরে কোন কারণে তাদের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে সোহাগীকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্য এই ঘটনা ঘটায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আটক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে ।
Posted ১০:৩১ | সোমবার, ০৪ জুলাই ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin