| রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
মুহাম্মদ রুহুল আমীন নগরী
কোন বিষয় নিয়ে পরস্পরের মধ্যে দ্বিমত থাকতে পারে, তর্কবির্তক হতেপারে, বাদানুবাদ হতেপারে। কিন্তু প্রতিপক্ষের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্তকরা কখনোই স্বাভাবিক কাজ হতেপারেনা। এমন ন্যক্কার জনক ঘটনা কখনোই সর্মথন যোগ্য হতে পারেনা। দেশে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনের গ্যারান্টি নেই। সকলের মনেই এক অজানা আতংক-উদ্বেগ বিরাজমান। সাধারণ মানুষ থেকে শুরুকরে সর্বত্র গুম-হত্যা,ক্রসফায়ার ইত্যাদি আতংক। প্রশাসনের লোক বলেন আর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেন কারোরই স্বাভাবিক নিরাপত্তা নেই। এমন কি জাতির বিবেক বলে পরিচিত সাংবাদিকদের জানমালেরও নিরাপত্তা আজ হুমকির সম্মুখিন। বাংলার আধ্যাত্মিক রাজধানী খ্যাত সিলেটে সম্প্রতি যে হারে ছিনতাই,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বৃদ্ধিপেয়েছে সত্যিই তা উদ্বেগের বিষয়। গত ১২ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৫টায় নগরীর মিরবক্সটুলায় তুচ্ছ ঘটনায় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন তরুণ আইনজীবী ,দিগন্ত টিভির সিলেট ব্যুরো প্রধান মুহাম্মদ তাজ উদ্দীন।
নগরীর মিরবক্সটুলায় সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র তার উপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাজ উদ্দিনকে প্রথমে উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে জানাযায়, শনিবার বিকেলে সাংবাদিক তাজউদ্দিন তার অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে মীরবক্সটুলাস্থ উইমেন্স হাসপাতালে যান। চিকিৎসা শেষে আসার সময় হাসপাতালের সামনের শাহরিয়ার ফার্মেসী ও সার্জিকেল স্টোরে পাওনা টাকা আনতে যান তাজউদ্দিন। ফার্মেসী মালিক শাহ আলম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দু’জন বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে শাহ আলম, তার স্ত্রী ও ফার্মেসীর কর্মচারীরা তাজউদ্দিনের উপর হামলা চালায়। এ সময় ফার্মেসীর সামনে আড্ডারত সনি, রণিসহ ৮-১০ জন ক্যাডার সংঘবদ্ধভাবে তাজউদ্দিনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাজউদ্দিনের মাথা ও নাক থেতলে দেয় সন্ত্রাসীরা। আঘাতপ্রাপ্ত হয় তার বাম চোখও। মারধরের একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন তাজউদ্দিন। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার প্রাইভেট গাড়ি চালক কয়েস আহমদ সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। তার বুকে ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফার্মেসীর মালিক শাহ আলমের স্ত্রী, শ্বশুর ও রনিকে গ্রেফতার করে।
৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা:
দৈনিক সিলেটের ডাক এর ডেপুটি চীফ রিপোর্টার মুহাম্মদ তাজ উদ্দিনের উপর হামলার ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাজ উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে শনিবার রাতেই মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৮ (১২-০৪-১৪)। এতে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছাত্রদল ক্যাডার রাইসুল ইসলাম সনি (২৭) সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জনকে আসামী করা হয়েছে। আসামীরা হচ্ছে শাহরিয়ার ফার্মেসী এন্ড সার্জিকেল স্টোরের মালিক হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার গাংগাইল গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র ও বর্তমানে নগরীর কুমারপাড়া আবাসিক এলাকার বি/৮ নং বাসার বাসিন্দা শাহ আলম (৩৫) ও তার ভাই সোহেল আহমদ (৩২), ফার্মেসীর ম্যানেজার ও সোহেল আহমদের স্ত্রী হালিমা আক্তার (৩০) এবং সোহেলের শশুড় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের পুত্র আনজব আলী (৬২), নগরীর মীরবক্সটুলা আজাদী ১০১ নং বাসার বাসিন্দা মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র রাইসুল ইসলাম সনি (২৭), রাইহানুল ইসলাম রনি (৩৩), ও আরাফাত ইসলাম বনি (২০)।
আন্দোলন কর্মসূচি :
সাংবাদিক এডভোকেট মুহাম্মদ তাজ উদ্দিনের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে সিলেটকে অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারী উচ্চারন করেছেন সিলেটের সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। গত বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পবিত্র সিলেট ভূমিতে অপরাধ করে কেউ পার পায় না। অথচ সামান্য ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসী সনি ও সোহেলের সহযোগিদের গ্রেফতার করতে প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসীরা কোন দলের নয়, এরা সব সময় সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে।
এদেরকে আইনের হাতে তুলে দিতে সবার সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। বক্তারা আরো বলেন সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের অবদান অবিস্মরণীয়। তাজ উদ্দিন কেবল দৈনিক সিলেটের ডাক এর ডেপুটি চীফ রিপোর্টার হিসেবে নয়, একজন আইনজীবী ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবেও সবার কাছে পরিচিত ও মূল্যায়িত। তার উপর হামলাকারীরা কোন অবস্থায় পার পেতে পারে না। যে কোন মূল্যে এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের দাবী জানান নেতৃবৃন্দ। দৈনিক সিলেটের ডাক পরিবারের ব্যবস্থাপনায় সিলেটের সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে দল মত নির্বিশেষে সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজন অংশ গ্রহণ করেন। সমাবেশে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, অতীতে সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার হয়নি বলে দুর্বৃত্তরা সাংবাদিক তাজ উদ্দিনের ওপর হামলার সাহস করেছে। তিনি বলেন, আইন-শৃংখলা বাহিনীর নির্লিপ্ততায় সিলেটে প্রতিনিয়ত ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক তাজ উদ্দিনের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে প্রয়োজনে সিলেট নগরীকে অচল করে দেয়া হবে। সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট এ.এফ.এম রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু বলেন,আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ন্যায় বিচার কায়েম তথা সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই সাংবাদিক তরুণ আইনজীবী তাজ উদ্দিনের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত শাস্তি প্রদান করতে হবে। কর্মসূচীতে একাত্মতা প্রকাশ করেন সিলেটের সাংবাদিক সংগঠনের পাশাপাশি সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতি, সিলেট চেম্বার অব কমার্স, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন, মাদানী কাফেলা,পুষ্পকলিসাহিত্য সংঘ সিলেট, সাংবাদিক সংগঠনের মধ্যে সিলেট প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, সিলেট টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়ন, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ইমজা, অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ওজাস, ওভারসিজ করেসপন্ডেন্ট এসোসিয়েশন, স্থানীয় সরকার সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক সিলেটের ডাক এর নির্বাহী সম্পাদক আবদুল হামিদ মানিক এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাহিদ, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট এ.এফ.এম রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সুজন সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট রিপোর্টারস্ ইউনিটি’র সভাপতি সালাম মশরুর, সিলেট প্রেসক্লাব ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক মো: লায়েছ উদ্দিন, গণতান্ত্রিক ব্যবসায়ী ফোরামের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরীন জাহান ফাতেমা, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের সিলেট জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট রফিকুল হক, টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়ন সিলেটের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এডভোকেট মইনুল হক বুলবুল, ওভারসিজ করেসপন্ডেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি খালেদ আহমদ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফুল আলম নাসির, অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি কবি মুহিত চৌধুরী, প্রবাসী সাংবাদিক রহমত আলী, বাসস সিলেট প্রতিনিধি মকসুদ আহমদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট মহানগর শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মাওলানা এমরান আলম, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিলোয়ার হোসেন সজীব, দক্ষিণ সুরমা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সাইফুল আলম, দক্ষিণ সুরমা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল, দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুসিক ও গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব সভাপতি মঞ্জুর আহমদ। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক দেওয়ান তৌফিক মজিদ লায়েক এবং সভা পরিচালনা করেন দৈনিক সিলেটের ডাক এর সহ সম্পাদক সেলিম আউয়াল। মানব বন্ধন কর্মসূচী শেষে মিছিল-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী। মানব বন্ধনে আরো যারা সংহতি প্রকাশ করেন-তারা হলেন-দৈনিক সিলেট সংলাপ সম্পাদক মুহাম্মদ ফয়জুর রহমান, দৈনিক জালালাবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আজিজুল হক মানিক, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বদরুদ্দোজা বদর, সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান আতা, দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো প্রধান এনামুল হক জুবের, দৈনিক পূণ্যভূমি’র বার্তা সম্পাদক আ.ফ.ম সাঈদ, সহযোগী সম্পাদক জিয়াউস শামস্ শাহিন, আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার কামকামুর রাজ্জাক রুনু, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র বিশ্বাস সমর, দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র এডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ, সিলেট সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক প্রতাপ চৌধুরী, বাংলা টিভি ইউ.কে’র সিলেট প্রতিনিধি আব্দুল মালিক জাকা, সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সভাপতি ও মাইটিভি সিলেট ব্যুরোপ্রধান নজরুল ইসলাম শিপার,দৈনিক জনতার সিলেট ব্যুরো প্রধান কামাল উদ্দিন আহমদ, এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার শাহ মুজিবুর রহমান জকন, দৈনিক প্রভাতবেলার সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ কবির আহমদ সুহেল, দৈনিক কাজির বাজারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ সুজাত আলী, দৈনিক সিলেট বাণ
ীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওবায়দুল হক চৌধুরী ও নির্বাহী সম্পাদক এম.এ.হান্নান, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সিলেট সুরমার নির্বাহী সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী দীপু, চ্যানেল-এস ইউ.কে’র সিলেট অফিস প্রধান মঈন উদ্দিন মন্জু, একাত্তর টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান ও সিলেট প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ, দৈনিক দুনিয়া আখেরাতের সম্পাদক ডা. মুখলিছুর রহমান, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল আহাদ, বাসস-এর রিপোর্টার শুয়াইবুল ইসলাম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের গোপাল বর্ধন, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের মন্জুর আহমেদ, দৈনিক নয়া দিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার আফতাব উদ্দিন, সিলেট প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহবাব মোস্তফা খান, দৈনিক প্রভাত বেলার বার্তা সম্পাদক চৌধুরী আমিরুল ইসলাম, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সিলেট প্রতিনিধি গুলজার আহমদ, যমুনা টিভির ক্যামেরাপার্সন নিরানন্দ পাল, দৈনিক জালালাবাদের সিনিয়র রিপোর্টার গোলাম মর্তুজা বাচ্চু, দৈনিক শ্যামল সিলেটের ফটো সাংবাদিক সাবিবর আহমদ ফয়েজ, ইউএনবি’র সিলেট প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান, ফটো সাংবাদিক দুলাল হোসেন, নাজমুল কবির পাভেল, দৈনিক কাজির বাজার পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সুয়েব বাসিত, বাংলার আলোর সম্পাদক কাজী হেলাল, দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার আব্দুর রশিদ রেনু, দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার ফয়সাল আমীন, দৈনিক সকালের খবরের সিলেট প্রতিনিধি দিপু সিদ্দিকী, দৈনিক ভোরের কাগজের আব্দুল জববার, দৈনিক কালের কন্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুর রাহমান ও ইয়াহিয়া ফজল, দৈনিক সিলেট বাণীর স্টাফ রিপোর্টার সমছু মিয়া, নাট্যকার আব্দুর রব তাপাদার, বিশ্বনাথ বার্তার সম্পাদক মুসাদ্দিক হোসেন সাজুল, দৈনিক দিনকালের সিলেট ব্যুরো প্রধান আয়েশা সিদ্দিকা আশা, সিলেট উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি ডা. এএম শিহাব উদ্দিন, বরইকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ সুরমা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী রইস আলী, দৈনিক সিলেট সুরমার প্রধান বার্তা সম্পাদক ফয়সল আলম, দৈনিক সংগ্রামের সিলেট ব্যুরো প্রধান কবির আহমদ, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’র সিলেট ব্যুরো প্রধান শাহ দিদার আলম নবেল, সাংবাদিক মঈন উদ্দিন, এনএনবি’র সিলেট প্রতিনিধি খায়রুল জাফর চৌধুরী, বাংলা টাইমস’র প্রধান সম্পাদক টি.এইচ.এম জাহাঙ্গীর, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আব্দুল বাতিন ফয়সল, যমুনা টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান মাহবুবুর রহমান রিপন, দৈনিক সংবাদের বিশেষ প্রতিনিধি আকাশ চৌধুরী, দৈনিক বঙ্গজননীর ব্যুরো প্রধান নূরুল ইসলাম, সংস্কৃতিকর্মী শামসুল বাসিত শেরো, জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ, মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমদ খান, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এসোসিয়েশন ফর ইয়ুথ এডভান্সমেন্ট আয়া বাংলাদেশ এর চেয়ারপার্সন সাংবাদিক এম আহমদ আলী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট জুয়েল আহমদ, দৈনিক খবরপত্রের সিলেট ব্যুরো প্রধান এমএ মতিন, দৈনিক সবুজ সিলেটের স্টাফ রিপোর্টার এনএইচ শিপু, গহরপুর রাইটার্স ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মো. জিল্লুর রহমান জিলু, সিলেট জেলা সিএনএফ এজেন্ট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক বশিরুল হক, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মনোরঞ্জন তালুকদার, অধিকার এর সিলেট কো-অর্ডিনেটর এডভোকেট মুহিবুর রহমান, কলামিস্ট লোকমান উদ্দিন লোদী, রাজনগরের কাগজ সম্পাদক আহমেদ ফয়সল আজাদ, সিলেট কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এহসানুল হক তাহের, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, স্থানীয় সরকার সাংবাদিক ফোরাম সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সিলেট সুরমার চিফ রিপোর্টার শাহ সুহেল আহ
মদ, সময় টিভির চিত্র সাংবাদিক দিগেন সিংহ, নওশাদ আহমদ চৌধুরী, প্যাসিফিক ক্লাব অব বাংলাদেশ এর সভাপতি মো. জয়নুল হক, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের আব্দুল অদুদ, সিলেট রিপোর্ট এর সম্পাদক মুহাম্মদ রুহুল আমীন নগরী, ছাতক সমিতি সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, এনটিভি ইউকে’র সিলেট প্রতিনিধি মারুফ আহমেদ, দৈনিক প্রভাতবেলার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক নাসির আহমদ খান, দৈনিক সিলেট সংলাপের সাব এডিটর রেজাউল হক ডালিম, ছাতক-দোয়ারা স্টুডেন্ট ফোরাম সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সাইদ নোমান, এনজিও বৃক্ষছায়ার পরিচালক শহিদ আহমদ খান সাবের, মাইটিভি’র সিলেট জেলা প্রতিনিধি শাহিন আহমদ, এমআর টুনু তালুকদার, তালুকদার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান জাহেদ আহমদ তালুকদার, সিলেট অন লাইন ফেসবুক এসোসিয়েশনের সভাপতি সোলায়মান আল মাহমুদ, জাগো সিলেট-এর সভাপতি আলা উদ্দিন আলো, নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্র সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক কবি এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, নগর উন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদ ইমদাদুল হক, ইয়াকুব আলী, বালাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ডা. তখলিছ আলী, ব্যবসায়ী শামীম আহমদ, মোস্তফা জালাল উদ্দিন, রায়হান হোসেন কামাল পাশা, রাহাত আহমদ রাজু, দিলওয়ার হোসেন, আব্দুল আহাদ বিলাস, আব্দুল মুমিন, সাদ্দাম হোসেন, একে কামাল হোসেন, মানবাধিকার কমিশন গোলাপগঞ্জ থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাসিত, সাংবাদিক আবুল হোসেন, আব্দুল আহাদ, ছাত্র নেতা আলী আহমদ, বাংলাভিশনের ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবর, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেটের সাবেক যুব প্রধান হানুর ইসলাম ইমন, কামালবাজার ক্যাবল নেটওয়ার্কের হোসেন আহমদ রুহুল, দৈনিক পূণ্যভূমির ফটোসাংবাদিক বেলায়েত হোসেন, দক্ষিণ সুরমা আওয়ামীলীগের নেতা নজমুল হোসেন, শ্রমিক লীগ নেতা আফতাব মিয়া, সিলেট ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা কুমার গণেশ পাল, মাদানী কাফেলার সেক্রেটারী মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী, ডেইলি আমার বাংলা সম্পাদক মিসবাহ মন্জুর, বিজয় টিভির ক্যামেরাপার্সন এএইচ সাগর, সিলেট জেলা মটর ম্যাকানিক্স এসোসিয়েশনের আব্দুল মুকিত মকুল, আরটিভির ক্যামেরাপার্সন আশরাফুর রহমান জুয়েল, লাইভ নিউজ টুয়েন্টি ওয়ান ডটকমের আজমল আলী, সংবাদ প্রতিক্ষণের নিজামুল হক লিটন, সিলেট এক্সপ্রেসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রোটারীয়ান আব্দুল মুহিত দিদার, বঙ্গজননী সিলেট ব্যুরো প্রধান নূরুল ইসলাম, ফেঞ্চুগঞ্জ বার্তার নূরুল কুদ্দুস জুনেদ, দৈনিক সিলেট সুরমার ফটো সাংবাদিক এম এ খালিক, সাংবাদিক শাহ মো. তানভির, জাহেদ আহমদ, আরআইআইএম’র চেয়ারম্যান শংকর সিংহ, টুলটিকর সমাজকল্যাণ সমিতির মোস্তাফিজুর রহমান মুন্নু ও সাধারণ সম্পাদক নাছির আহমদ, সওদাগরটুলা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, সিলেট জেলা মোটর ওয়ার্কসপ মেকানিক ইউনিয়ন ও রেস্তোঁরা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, হকার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুর রকিব, সাধারণ সম্পাদক রুমান আহমদ, প্রচার সম্পাদক জাহেদ রাজা, সদস্য মঈন মিয়া, সাংবাদিক মানাউবী সিংহ শুভ, ফটো সাংবাদিক শেখ আব্দুল মজিদ, আশরাফুর রহমান এমরান, আবুবক্কর সিদ্দিক, আনোয়ার হোসেন, মুজিবুর রহমান নানুমিয়া , মহানগর বিএনপি নেতা দুলাল আহমদ, ফটো সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জালালাবাদ থানা শাখার নেতৃবৃন্দ ও দৈনিক সিলেট বাণীর স্টাফ রিপোর্টার সমসু মিয়া অনলাইন সিলেটের সময় সম্পাদক মেহেদী কাবুল, আম্বরখানা বাজার কমিটির প্রচার সম্পাদক সোহেল আহমদ, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট জুয়েল আহমদ, এনটিভি ইউকে’র সিলেট প্রতিনিধি মারুফ আহমেদ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল সিলেট মহানগর শাখার আহবায়ক সালেহ আহমদ খসরু প্রমুখ। শহীদ মিনার সম্মুখে সাংবাদিকদের উদ্দোগে বিশাল মানব বন্ধন থ
েকে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের কর্মসুচি ঘোষণা করা হয়।
হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সিলেট বাসী ঐক্যবদ্ধ। বিভিন্ন দলমত,ধর্ম, শ্রেণি-পেশার মানুষ এই কর্মসুচিতে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। সাংবাদিক তাজউদ্দীনের উপর হামলার প্রতিবাদে আমরা সিলেটে এক অভুতপুর্ব সম্মিলন দেখেছি ১৭ এপ্রিল। বিভেদ-বিচ্চেদের দেয়াল ডিঙ্গিয়ে সিলেটের সাংবাদিক সমাজ গড়ে তোলেন আন্দোলনের মানব প্রাচীর। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট,ইলেক্ট্রনিক্্র মিডিয়া, ফটো জার্নালিষ্ট,অনলাইন জার্নালিষ্টসহ সর্বস্থরের মিডিয়া কর্মী,লেখক-কলামিষ্টদের একতাবদ্ধ আন্দোলনই অপরাধিদের উচিত শিক্ষাদিতে এগিয়ে আসবেন প্রশাসন। আর যদি মিডিয়া কর্মীরা বিচ্ছিন্নতার জালে আবদ্ধ থাকেন তাহলে কিন্তু প্রশাসনের ভুমিকা হবে -‘চুরকে বলে চুরি কর আর গৃহস্থকে বলে সজাগ থাক’ এমন কাহিনী-ই ঘটবে।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীর হত্যাকারী দের মতো অথবা সিলেটের সাংবাদিক ফতেহ ওসমানীর হত্যা মামলার আসামীদের মতো ‘সীমাবদ্ধতা’র আওয়াজ আমরা শুনতে চাইনা। সাংবাদিক তাজ উদ্দীনের উপর হামলার গতিপ্রকৃতির বিশ্লেষন করলে এটা প্রতিয়মান হয় যে, হামলার উস্কানী দাতা এবং হামলা কারীদের সকলেই ছিলেন মাতাল, নেশাখোর,খুনীদের তালিকা ভুক্ত! আর এমন বদমেজাজ, মাতাল, চরিত্রহীন,লুঠেরা খুনী লোক অন্তত ওষদ বিক্রেতা হতেপারেনা। হামলাকারীরা কখনোই ফার্মাসিষ্ট পদে বহাল থাকতে পারেনা। এ ছাড়া ব্যবসায়ী হিসেবে এই ফার্মেসী মালিকের বা কর্মচারীদের কুঠির জোর কোথায় তা তদন্ত করার দায়িত্ব আইনশৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর। আমরা আশাকরি সরকারের বিভিন্ন স্থরের গুয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে তাদের মুখোশ উন্মোচন করাহবে। একই সাথে হামলার সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির সম্মুখিন করা হোক।
আমার যতদুর জানা তাজউদ্দীন একজন সাদামনের মানুষ,সজ্জন ব্যক্তিত্ব। তরুণ আইনজীবি এডভোকেট মুহাম্মদ তাজ উদ্দীনের সদা হাস্যোজ্বল মুখের দিকে আজ থাকানো যাচ্ছেনা। মহান আল্লাহপাকের বিশেষ নেয়ামত হলো মানুষের চেহারা। তাজ উদ্দীনের রক্তাক্ত কপাল,চোখ এবং গন্ডদেশে থাকিয়ে সে দিন মনে হয়েছিল ‘এজিদ’ নামীয় এক ভয়ানক ব্যক্তির কথা। সত্যিই অবাক হতে হয় হায়েনার মতো র্দুবৃত্তরা কী ভাবে চাদেঁর ন্যায় সদা হাসি হাসি ভাব এমন একটি চেহারার উপর আঘাত হানলো? প্রাণনাশের চেষ্টায়-জীবন সংহারী এই আক্রমন প্রত্যক্ষ করেছে সাথে থাকা নিষ্পাপ শিশু আরিয়ান ইশমাম। আমি জানিনা ভাতিজা ইশমাম এর কচি মনে,কোমল হৃদয়ে সেই নারকীয় হামলার দৃশ্য কতটুকু রেখাপাত করেছে! স্বীয় জন্মভুমির মাটি ও মানুষের সাথে তাজ উদ্দীনের ভালবাসার বন্ধন যে শতভাগ তা আমরা দেখেছি, তার উপর সন্ত্রাসী হামলারপরে। পরিশেষে মহান আল্লাহপাকের দরবারে কলম সৈনিক তাজ উদ্দীনের দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘনেক হায়াত কামনা করছি।
লেখক: প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন সিলেট
Posted ১১:৫৫ | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin