| মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
আবুধাবি: টস হেরে শ্রীলংকান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে দলের শুরুটা ভালো দেখলেও শেষটা হয়েছে একেবারেই বাজে ধরনের। মাত্র একটি উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার সময়ে ৬৬ রান করলেও ১০১ রান তুলতেই সাতজন ব্যাটসম্যানকে হারায় লংকানরা। অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের ৯১ রান এবং শেষদিকে শামিন্দা ইরাংগার ১৪ রানে দুইশ’র কোটা পার করে দ্বীপরাষ্ট্রটি। নবম উইকেটে ইরাংগাকে সাথে নিয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ গড়েন ৬১ রানের জুটি।
সংযুক্ত আরব আমীরাতে অনুষ্ঠানরত তিন টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানি বোলারদের দাপটটা একেবারেই সুস্পষ্ট। দুই পেসার জুনায়েদ খান এবং বিলাওয়াল ভাট্টির তোপে ৬৫ ওভারে ২০৪ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। দিনের প্রথম অংশটা পাকিস্তানি পেসাররা নিজেদের করে নেয়ার পর প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনশেষে এক উইকেট হারিয়ে ৪৬ রান তোলে পাকিস্তান। ক্রিজে ২৫ রানে অপরাজিত আছেন আহমেদ শেহজাদ। খুররম মনজুর ২১ রানে রান আউট হলেই শেষ হয় প্রথম দিনের খেলা।
পেসার জুনায়েদ খান ৫৮ রানের বিনিময়ে শিকার করেন পাঁচ উইকেট। তার সঙ্গী আরেক ফাস্ট বোলার বিলাওয়াল ভাট্টি ৬৫ রান দিয়ে তুলে নেন তিনটি উইকেট। শ্রীলঙ্কার দুই নবীন ওপেনার দিমুথ করুণারতেœ এবং কুশল সিলভা ৫৭ রানের জুটি গড়ার সময়টাতে টস জিতে মিসবাহ’র ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্তটা ভুল বলে মনে হচ্ছিল। মধ্যাহ্ন ভোজনের সময়টাতে শ্রীলংকার স্কোরবোর্ডে এক উইকেটের বিনিময়ে ছিল ৬৬ রান। কিন্তু আহারের পরই দ্বিতীয় সেশনে দৃশ্যপট পাল্টে দেন জুনায়েদ খান এবং বিলাওয়াল ভাট্টি।
ওপেনার আহমেদ শেহজাদের সাথে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা ভাট্টি মধ্যাহ্নভোজনের পর মাত্র আট বলের ব্যবধানে তিন শ্রীলংকানকে দর্শক বানিয়ে দেন।দুপুরের খাবারের পর খেলা শুরু হলে চতুর্থ বলেই সিলভাকে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন ভাট্টি। পরের ওভারেই অভিজ্ঞ মাহেলা জয়াবর্ধনেকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিনে বাধ্য করেন এই পাকিস্তানি পেসার। এক বল আগে অবশ্য আরো একবার কট বিহাইন্ড হয়েছিলেন মাহেলা। কিন্তু সে বলটাকে ‘নো’ ডাকেন আম্পায়ার। মাহেলাকে ফেরানোর দুই বল পরই দীনেশ চান্ডিমাল ব্যাটের কানা লাগিয়ে বল জমা দেন স্লিপে দাঁড়ানো মোহাম্মসদ হাফিজের হাতে। রানের খাতা খোলার আগেই চান্ডিমাল আউট হলে ৭৬ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটের পতন দেখে শ্রীলংকা।
পরের কাজটা সারেন জুনায়েদ খান। শ্রীলংকান দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারাকে পয়েন্টে ১৬ রানের মাথায় ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন জুনায়েদ। এছাড়া প্রসন্ন জয়াবর্ধনে এবং সচিত্র সেনানায়েকেকে কট বিহাইন্ড করেন পাকিস্তানি বাঁহাতি পেসার। রানের খাতা খোলার আগেই রংগনা হেরাথকে বোল্ড করে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট দখলের কাজটা সম্পন্ন করেন জুনায়েদ।একটা সিংগেলস নিয়ে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের দ্বাদশ হাফ সেঞ্চুরি। এই পথে তিনি নয়বার বাউন্ডারি সীমানার দড়ি পার করেন বল।
অথচ দিনের প্রথম সেশনটা ছিল একেবারেই ভিন্ন রকমের। করুণারতেœ তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান প্রথম তিন ওভারে। প্রতি ওভারেই তিনি রান নেন পাঁচ করে। এরপর জুনায়েদ খানের বলে টাইমিংয়ে হেরফের করে গালিতে দাঁড়ানো আসাদ শফিকের তালুবন্দি হন লংকান ওপেনার। প্রথম একটা ঘণ্টা উইকেটের জন্য মাথা খুঁড়ে মরে পাকিস্তান দল।
Posted ২২:৪৩ | মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin