বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতিতে দেশের মধ্যম ও নিম্নআয়ের মানুষের পেটে ক্ষুধা, চোখে গোলক ধাঁধা। তারা নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। পেটে ক্ষুধা, চোখে গোলক ধাঁধা নিয়ে তারা পদ্মা সেতু দেখতে চায় না। এ সেতুতে হাজার ভোল্টের বাল্ব লাগালেও মানুষ দেখতে পাবে না।’

মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেলে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া পরিষদ এ মাহফিলের আয়োজন করে।

পদ্মা সেতু নিয়ে দেশে এখন সার্কাস চলছে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘অনেক সার্কাস দেখেছি, শুনেছি। কিন্তু দেশে এখন চলছে পদ্মা সেতু সার্কাস। সরকারের পক্ষ থেকে কত কথা..। অথচ এ পদ্মা নদীর ওপরে একটা সেতু অনেক আগেই করেছে বিএনপি। তার নাম লালন শাহ সেতু। খালেদা জিয়া এ সেতু করেছিলেন। কই, তখন তো এত হইচই হয়নি।’

বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে সরকার দেশজুড়ে রীতিমতো রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক থাকতে বলেছেন শেখ হাসিনা। অথচ তিনি কী জানে, প্রস্তাবিত বাজেটের কারণে দেশের মধ্যম ও নিম্নআয়ের মানুষ আধাবেলা খাচ্ছেন। সরকার মনে করছে, পদ্মা সেতু দেখলে মানুষ সবকিছু ভুলে যাবে। আগে যারা প্রতিদিনের আয় থেকে এক কেজি চাল কিনতেন। তারা এখন কিনছেন হাফ কেজি। শেখ হাসিনা কী এটা জানেন?’

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমি আগেও বলেছিলাম, এ নির্বাচন কমিশন হচ্ছে আওয়ামী লীগের কিচেন (রান্নাঘর) কমিশন। কুমিল্লার ঘটনায় সিইসি যে বক্তব্য দিলেন তাতে মনে হচ্ছে, তারা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মতো কাজ করছে। আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই করবে, আর নির্বাচন কমিশন পাহারা দেবে। সেই দায়িত্বই তারা (ইসি) নিয়েছে। এ কারণে আওয়ামী লীগের অধীনে সব নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।’

দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কুদ্দুস। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।