শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হলে মানুষের হয়রানি বাড়বে: মির্জা ফখরুল

  |   সোমবার, ১৭ মে ২০২১ | প্রিন্ট

পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হলে মানুষের হয়রানি বাড়বে: মির্জা ফখরুল

মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হলে সাধারণ মানুষের হয়রানি বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

গত বছরের মার্চে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এরপর কয়েক মাস সাধারণ মানুষ জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থায় গেলেও পরবর্তীতে তাদেরও মধ্যে মাস্ক পরার ক্ষেত্রে এক ধরণের শিথিলতা দেখা যায়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। বের হলেও অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। না হলে জরিমানা গুণতে হবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়। এ নিয়ে কিছুদিন আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতা দেখা গেলেও পরবর্তীতে সেটাও বন্ধ হয়ে যায়।

 

মার্চের শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকে। এরপর করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করলে ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন পালন করা হলেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। পরে তা ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

 

মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার চিন্তার কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হলে সাধারণ মানুষের হয়রানি বাড়বে।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। আমরা সে রকম কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করিনি। বরং এই সরকারের উদাসীনতা, অনভিজ্ঞতা লক্ষ্য করা গেছে। আমরা মনে করি, এটি সরকারের একটি চরম ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার কারণেই আজ এই সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে।

 

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সরকার করোনাতে প্রমাণ করে দিয়েছে তারা একটি ব্যর্থ সরকার। তাদের কোন যোগ্যতা ও ক্ষমতা নেই। শুধু দুর্নীতি ও লুটপাটের জন্য জনগণকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে তারা।

জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:৪৩ | সোমবার, ১৭ মে ২০২১

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com