| শনিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২২ | প্রিন্ট
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : দিরাই উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাওর চাপতির হাওর পনিতে তলিয়ে যায় ৭ এপ্রিল। হাওরটি তলিয়ে যাওয়া পর থেকেই কৃষকদের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা হাওর তলিয়ে যাওয়ায় পিআইসির নিম্ন মানের কাজকেই দায়ী করেছেন।
কৃষকরা জানান, চাতল থেকে তাড়ল পর্যন্ত গত বারের বাঁধ অক্ষত ছিল। যে ক্লোজার ভেঙ্গে চাপতির হাওরে পানি ডুকেছে গত বছর সে ক্লোজার ও অক্ষত ছিল। পিআইসি দায়সারভাবে বাঁধে কিছু মাটি ফেলেছিল। তাই পানির প্রথম ধাক্কাতেই বাঁধ ভেঙ্গে যায়।
দিরাইর পওর শাখা-১ এর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাখা কর্মকর্তা এ.টি.এম মোনায়েম হোসেন জানান, দিরাই উপজেলার ১৬ নং পিআইসির বাঁধটি ভেঙ্গে চাপতির হাওর তলিয়ে যায়।
জানা যায়, দিরাই উপজেলাধীন চাপতির হাওর উপ-প্রকল্প কিঃমিঃ ৪২.৬৩৪ হতে কিঃ মিঃ ৪৩.১৭৪=০.৫৪০ কিঃ মিঃ অংশ বাঁধের ভাঙ্গন বন্ধকরণ ও মেরামত কাজ হিসেবে এ বাঁধে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৭শ ৯৮ টাকা ১৮ পয়সা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্থবায়ন কমিটি (পিআইসি) ছকে প্রথমে ইউনিয়নের নাম তাড়ল লিখা হলেও পিআইসি তালিকায় ইউনিয়ন কলামে লিখা হয় জগদল।
এ প্রকল্পে সভাপতি ছিলেন, তাড়ল গ্রামের মৃত আঃ মঈন চৌধুরীর পুত্র জাকারিয়া চৌধুরী, কমিটির প্রথম সদস্য জাকারিয়া চৌধুরীর ভাই মোস্তাকিম চৌধুরী, সদস্য সচিব তাড়ল গ্রামের মৃত হাজী মিরাধন চৌধুরীর পুত্র কামরুল হাসান চৌধুরী।
অন্যান্য সদস্যরা হলেন, তাড়ল গ্রামের বির মিয়া চৌধুরীর ছেলে রবিউল ইসলাম ও একই গ্রামের আব্দু মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম।
Posted ০৯:৪০ | শনিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin