| বৃহস্পতিবার, ০৯ জুন ২০২২ | প্রিন্ট
শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ভোর পর্যন্ত উজানে বর্ষণের ফলে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে মহারশি নদীর খৈলকুড়া বাঁধ ভেঙে দু’কুল উপচে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় । ঢলের পানি প্রবেশ করে বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইগাতী সদর, ধানশাইল ও কাংশা ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে ওইসব এলাকার শতাধিক মানুষ। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আউশ ও সবজির আবাদ।
এদিকে ঢলের পানিতে উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তা ৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায় এবং উপজেলা পরিষদের ভবনের নিচ তলায় বিভিন্ন অফিসের ভিতর ও হাজী অছি আমরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সরকারী দপ্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফাইলপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝিনাইগাতী বাজারে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে মসজিদ রোড (কাঁচা বাজারে) হাটু পানি জমে যায় । অপরদিকে উপজেলার ঝিনাইগাতী সদর, দিঘীরপাড়, রামনগর, চতল, আহাম্মদনগর, বনকালি, ধানশাইল, কুচনীপাড়া, বাগেরভিটা, কাংশা, হাতীবান্ধা, লয়খা, কামারপাড়া, পাগলার মুখ, দাড়িকালিনগরসহ ১৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২১২ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে ২০ হেক্টর জমির আউশ আবাদ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৩ হেক্টর আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ৭৪০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে, তন্মধ্যে ৩৮ হেক্টর জমির সবজির ক্ষতি হয়েছে। এতে ৩০ হেক্টর জমির সবজির সম্পূর্ণ ক্ষতি ও ৮ হেক্টর জমির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বলেন, ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের খৈলকুড়া নামক স্থানে মহারশী নদীর বাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিন্মাঞ্চলের বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সরেজমিনে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। উপজেলা কৃষি দপ্তরসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, ঝিনাইগাতীতে প্রতিবছরই মহারশী নদীর বাঁধ ভেঙে অথবা নদীর দু’কুল উপচে শহর এলাকায় পানি প্রবেশ করায় ব্যবসায়ীসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের ফাইলপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শহররক্ষার স্বার্থে মহারশী নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
Posted ১৫:২০ | বৃহস্পতিবার, ০৯ জুন ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin