| শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২ | প্রিন্ট
শাহরিয়ার মিল্টন , শেরপুর : টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ীে ভোগাই এবং চেল্লাখালী নদীর তীব্র স্রোতে তীর ভেঙ্গে বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার (১৭ জুন) পৌরশহরের উত্তর গড়কান্দা ও আড়াইআনী বাজার প্লাবিত হয়েছে। গড়কান্দা বাগানবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। পাহাড়ি ঢলে ভোগাই নদীর তীরের দুই জায়গায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে ও চেল্লাখালী নদীর দুটি মিনি ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে। সেইসঙ্গে আমন বীজতলা ও সদ্য রোপিত আউশ ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ। ভাঙ্গন এলাকায় পানি ঢুকে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত টানা ভারী বৃষ্টিপাত হয়। ফলে উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বেড়ে ৩.৭৬ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তর গড়কান্দা (বাসষ্ট্যান্ড) এলাকায় নদীর তীর ভেঙ্গে গেছে। গত বছরের ভাঙ্গন স্থানে স্থায়ী কোনো বাঁধ নির্মিত না হওয়ায় ওই ভাঙ্গনস্থান দিয়েই পানি গড়িয়ে শহরের উত্তর গড়কান্দা মহল্লা প্লাবিত হয়েছে। আড়াইআনী বাজারস্থ নিজপাড়া ও সরকারী খাদ্য গুদামের পাশ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি চেল্লাখালী নদীতে প্রবল স্রোতে পাহাড়ী ঢল নেমে নদীর উপর নির্মিত পলাশিকুড়া ও আমবাগান বেকিকুড়া এলাকার টানা স্টীলের মিনি ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে। উপজেলার নয়াবিল, বাঘবের, কলসপাড়, যোগানিয়া ও মরিচপুরান ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে শহস্রাধিক পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়িতে পানি উঠায় রান্না করতে পারেনি অনেক পরিবার ।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, প্রায় ২০ হেক্টর আমন বীজতলা ও ১শ হেক্টর সদ্য রোপিত আউশ ধানের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রনয়নের জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পাহাড়ি ঢলে উপজেলার প্লাবিত এবং ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি। জরুরী ভিত্তিতে এসব ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ পানিবন্দি মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করা হবে ।
Posted ১৫:৩৮ | শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin