শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের ভূয়া যোগদানপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

  |   শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের ভূয়া যোগদানপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ :  নওগাঁর মান্দায় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের ড্রাইভার পদে চাকুরী দেওয়ার নামে ভূয়া যোগদানপত্র তৈরি করে দিয়ে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেলিম রেজা (বিদ্যুৎ) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী ওই চাকরি প্রত্যাশির পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট মোঃ শহিদুজ্জামান মিলন একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সেলিম রেজার কাছে। ভূক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক পেশায় একজন ড্রাইভার। তিনি উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের ইনায়েতপুর গ্রামের মৃত আমির হেসেনের ছেলে ও প্রতারক সেলিম রেজা বিদ্যুৎ একই গ্রামের গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে।

লিগ্যাল নোটিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতারক সেলিম রেজা বিদ্যুৎ বাংলাদেশ সচিবালয়ের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয়ে এম,এল,এস,এস পদে চাকুরীর করেন বলে দাবি করেন। সচিবালয়ে চাকুরীর সুবাদে বিভিন্ন সচিব, মন্ত্রী, ও সরকারি অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে তার সাথে যোগাযোগ আছে তাই সে চাকুরী দিতে পারবেন বলে জানান। এর একপর্যায়ে পাঠ ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের ড্রাইভার পদে নিয়োগের জন্য তার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন এবং তাকে নিয়োগপত্র ও যোগদানপত্র দ্রুত সরবরাহ করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন।
তারপর গত ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বরে আরো ২০ হাজার টাকা দাবী করায় তিনি কৃষি ব্যাংক, প্রসাদপুর মান্দা, নওগাঁ হিসাব নং- ১৩৯০৪ চেক নং- RB ৬৫১৮৮৬৫, তে ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। একই তারিখে ০৫২-২০৮৯৩০৭১৩৬০৯২ নম্বরের স্মারকে “ড্রাইভার পদে একটি ভূয়া যোগদান পত্রের ফটোকপি প্রদান করে বলেন যে, ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারিতে যোগদান সম্পন্ন হবে। পরের দিন সে ভুক্তভোগীকে মোবাইলে জানায় করোনা মহামারির কারণে যোগদান কার্য বিলম্বিত হবে। পরে তাকে জানানো হবে”। পরবর্তীতে তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবদুর রাজ্জাক বলেন, তিনি আমাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুই লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এরপর আমাকে চাকরির নিয়োগপত্র না দিয়ে একটি ভূয়া যোগদান পত্রের ফটোকপি দেন। তার জালিয়াতি আমার কাছে ধরা পড়লে গত ৬ জুলাই সাক্ষীসহ তার বাড়িতে গিয়ে এসব বিষয়ে জানতে চাই। তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মারপিট করার হুমকি দেন এবং টাকা, যোগদান/চাকুরি কোনটায় দিবেন না বলে জানান। এ প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়েরসহ একাধিকবার লিগ্যাল নোটিশ করেও কোন প্রতিকার পাইনি।
এবিষয়ে জানার জন্য পক্ষ থেকে অভিযুক্ত সেলিম রেজা বিদ্যুৎ এর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়ার পরেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে প্রসাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুল মতিন মন্ডল বলেন, গত কয়েকদিন আগে বিষয়টি ভূক্তভোগী আমাকে জানিয়েছেন। বাদি এবং বিবাদি তারা দুইজনে একই এলাকার এবং একে অপরের আত্মীয়ও বলে জানা যায়। অভিযোগের বিষয়টি কতদূর সত্য তা উভয়ের কাছ থেকে সরাসরি শোনার পর একটা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে।
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৭:১২ | শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com