শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচ ‌কার্যদিবসে রায়ের কপি দেয়ার নিয়ম: মির্জা ফখরুল

  |   শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট

পাঁচ ‌কার্যদিবসে রায়ের কপি দেয়ার নিয়ম: মির্জা ফখরুল

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের কপি দিতে বিলম্বে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপি নেত্রীর আইনজীবী জয়নাল আবেদীনের দাবি, পাঁচ কার্যদিবসে অনুলিপি দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দলের আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। বৈঠক শেষে বের হয়ে এই দাবি করেন দুই জন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ারে সাজা দিয়ে দেয়া রায়ের অনুলিপি না পাওয়ায় এখনও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও জামিনের আবেদন করা যায়নি।

এরই মধ্যে পাঁচটি কার্যদিবস শেষ হয়ে গেছে। যদিও গত বুধ ও বৃহস্পতিবার রায়ের অনুলিপি পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদেরকে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তিসঙ্গতভাবে টাইপ করতে যত দিন সময় লাগে, ঠিক তত দিন উনারা (আদালত) সময় নেবেন। এর চেয়ে এক মিনিট বেশি রাখার জন্য সরকারের কোনও ইচ্ছা নেই। এ ব্যপারে সরকার কোন নাকও গলাবে না।’

তবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম জিয়ার জামিনের ব্যপারে সার্টিফাইড কপির ব্যপারে ইচ্ছাকৃত ভাবে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বেআইনি ভাবে আজকে তার রায়ের সার্টিফাইড কপি দেয়া হচ্ছে না। এটা সম্পুর্ণ ভাবে আইনের লঙ্ঘন।’

‘যে বিধান রয়েছে সেখানে মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে সার্টিফাইড কপি দেয়ার কথা ছিল। আজকে প্রায় আট নয়দিন হয়ে গেছে তা এখনো দেয়া হয়নি। সুতরাং বোঝা যায় সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আইনকে হাতে নিয়ে বেআইনি কাজ করছে এবং বেগম জিয়ার মুক্তিকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে।’

সরকারের খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে, নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জনগণ তাদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এর জবাব দেবে।’

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীনও পাঁচ কার‌্যদিবসে রায়ের কপি দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্রিমিনাল রুলসের পাচ কর্মদিবসের মধ্যে অবস্যই সার্টিফাইড কপি সর্বরাহ করবেন। এখানে শ্যাল (Shall) বলা আছে, শ্যাল মানে অবশ্যই।’

রায়ের কপির বিষয়ে আদালত থেকে কী বলা হচ্ছে-এমন প্রশ্নে জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তারা কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যখ্যা দেয়নি। তারা প্রতিদিনই বলছেন, আগামীকালকে পেয়ে যাবেন, আমরা একজামিন করছি।’

‘এখানে একজামিন করার কোনো বিষয় নয়। আমরা ওই জাজমেন্টের দিনই একটি সত্যায়িত কপি চেয়েছিলাম এবং এটা দেয়ার বিধান আছে।’

‘আমরাদের হাইকোর্ট রুলসে বিধান আছে যে একটি সত্যায়িত কপি দ্বারা যে কোন আপিল ফাইল করা যায়। কিন্তু তারা আজ পর্যন্তও সেই সত্যায়িত কপিটিও আমাদের দেয়নি।’

রায় দেয়ার পরে কপিতে পরিবর্তনের করার কোন বিধান আছে কি না-এমন প্রশ্নে জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘রায়ের পরে এটা পরিবর্তন করার, অন্য কোন ভাবে এটাকে একজামিন করার বা কোনো সংশোধন করার বা ল্যাঙ্গুয়েজ পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নাই।’

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৬:০০ | শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com