| রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবারো বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন দলটির সংসদ সদস্যরা। দাবি মানা না হলে তারা সংসদ থেকে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন তারা। সেইসঙ্গে বিএনপি প্রধানের মুক্তির জন্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত মানববন্ধনে এই হুঁশিয়ারি দেন তারা। বিএনপি প্রধানের মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানববন্ধন করে দলটি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা।
খালেদার মুক্তির দাবি জানিয়ে সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমাদের সংসদ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করবেন না। আমি আগেও বলেছি, আমাদের ন্যায্য দাবি যদি মেনে না নেওয়া হোক। তা না হলে আমরা সংসদ থেকে বের হবো কি না, সে বিষয়ে ভাববো।’
হারুনুর রশীদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হবে, তা দমনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করতে দিচ্ছে না। ২০০৮ সালের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ৩০ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির দণ্ড মওকুফ করেছে।’ জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে পেছন ফিরে ‘ডিকটেড’করেছেন, তা লজ্জাকর। আর আইনমন্ত্রী যেভাবে ব্যাখ্যা দেন, তা হাস্যকর।
বগুড়া-৬ আসনের সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। কিন্তু সরকার চিকিৎসকের কথা উপেক্ষা করছে। আইনমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে আবার জেলে গিয়ে আবেদন করতে হবে। সরকার চাইলে খালেদা জিয়ার বাসভবনকে সাবজেল ঘোষণা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে পারে।
তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর যে শারীরিক ভাষা দেখা গেছে, তাতে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁরা কিছু আশা করেন না। রাষ্ট্রপতিকে তাঁর ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান তিনি।
গত তিন বছরে বেগম জিয়ার ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন চালানো হয়েছে এমন অভিযোগ করে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘তাকে কোনো প্রকার ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়নি। যদি তিনি তার অসুখের চিকিৎসা করাতে পারতেন, সরকার যদি সেই সুযোগ দিতো তাহলে আজকে তার এই অবস্থা হতো না। বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ৪০১ ধারায় সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে সাজাপ্রাপ্ত বা সাজাপ্রাপ্ত নয় তাদেরকে শর্তযুক্ত বা শর্তহীনভাবে দণ্ড মওকুফ করতে পারে কিংবা দণ্ড স্থগিত করতে পারে।
মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার, বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ মোশাররফ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ আমিনুল ইসলামও অংশ নেন।
Posted ০৮:৫৭ | রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain