| শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক : পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩৫৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে। এসব হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে ১১২ জনের নামে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মণিসিংহ সড়কে মুক্তিভবনে ‘পঞ্চম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনে প্রতিন্দ্বিতাকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এ কথা জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের দেয়া হলফনামা অনুসারে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সুজনের সহকারী সমন্বকারী সানজিদা হক।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে ৩৫৪ প্রার্থীর ৪৫.৪৮ শতাংশ অর্থাৎ ১৬১ জন স্নাতক বা স্নাতকোত্তর। যদিও ৩৪.১৮ শতাংশ বা ১২১ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির কম। ৭৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরুতে পারেননি। ৬৪.৯৭ শতাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থীর পেশা ব্যবসা এবং কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত আছেন ১৬.৯৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬০ জন প্রার্থী। মোট ১২ জন বা ৩.৩৯ শতাংশ প্রার্থী হলফনামায় পেশা উল্লেখই করেননি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৫৪ জন প্রার্থীর মধ্যে বার্ষিক ১ কোটি টাকার ওপরে আয় করা প্রার্থী রয়েছেন মাত্র ৫ জন। বাকিদের মধ্যে ৭৯ জন বা ২২.৩২ শতাংশ প্রার্থী বছরে ২ লাখ টাকা বা তার চেয়ে কম আয় করেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান পদে ৩৫৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৮ জন বা ২৭.৩৯ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি। ঋণগ্রস্ত ৬০ জন। কোটি টাকার অধিক ঋণগ্রহণকারী ১৩ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ৫ কোটি টাকার বেশি সম্পদের অধিকারী ১১ জন। এদের মধ্যে আয়কর প্রদান করেন ৩২.৭৬ শতাংশ বা ১১৬ জন প্রার্থী।
হলফনামায় অনেক প্রার্থীই সম্পদের আর্থিক মূল্য উল্লেখ না করায় আর্থিক মূল্যে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান সানজিদা হক।
সংবাদ সম্মেলনে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি ও সহিংসতা রোধ করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ কমিশন দাবি করেছে, আল্লাহর মেহেরবানি, যথাযথভাবে নির্বাচন হয়েছে। কমিশনের এমন দাবি সত্যি সত্যিই নাগরিক সংগঠন হিসেবে আমাদের উৎকণ্ঠিত ও হতাশ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম নির্বাচনে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু সেনাবাহিনী তেমন কোনো ভূমিকা পালন করেনি।’
বদিউল আলম মজুমদার আরো বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে আমরা ৭ জন এমপির হলফনামা তুলে ধরেছি। এর মধ্যে ৩ জন প্রার্থী পরে স্বীকার করেছেন তাদের হলফনামায় ভুল ছিল। অথচ সংবিধানের ১৮১ ধারা অনুযায়ী মিথ্যা হলফনামা প্রদান করলে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড হতে পারে। এখন দেখা যাচ্ছে, আমাদের আইন প্রণেতাদের অনেকেই আইনভঙ্গকারী।’
রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অনেকেই রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে দেখেন বলেও মন্তব্য করেন সুজন সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সাইফউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
Posted ১৪:৫৩ | শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin