বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোণার ১০ উপজেলা প্লাবিত, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ৭

  |   রবিবার, ১৯ জুন ২০২২ | প্রিন্ট

নেত্রকোণার ১০ উপজেলা প্লাবিত, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ৭

স্বাধীনদেশ অনলাইন : ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে আরও নতুন নতুন অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, জেলার ১০ উপজেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে সাত উপজেলার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।

বুধবার থেকে শুরু হওয়া বর্ষণ এবং উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জেলার প্রধান নদ-নদীসহ হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা, খালিয়াজুরী, মদন ও মোহনগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। তলিয়ে গেছে মৌসুমি সবজিসহ আউশ ধানের খেত। পানিতে ভেসে গেছে সহস্রাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ। রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে আন্তঃসড়ক যোগাযোগ।

এরই মধ্যে শুক্রবার সারা রাতের বৃষ্টিতে নেত্রকোনা সদর, পূর্বধলা, কেন্দুয়া ও আটপাড়াও প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নেত্রকোণা-মোহনগঞ্জ রেলপথের বারহাট্টা উপজেলার অতিথপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ইসলামপুর এলাকার রেলসেতুটিও। এতে নেত্রকোণা থেকে সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পানিতে প্লাবিত হয়েছে জেলার শত শত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে ৭টিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে কলমাকান্দা উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর থেকে সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্য উপজেলাগুলোর কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সচল থাকলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। বিদ্যুৎ না থাকায় এসব এলাকায় মুঠোফোন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরি, বারহাট্টাসহ সাতটি উপজেলায় বন্যার পানি দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। অল্প সময়ের মধ্যেই দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। কলমাকান্দায় প্রায় ৯২ শতাংশ, খালিয়াজুরিতে ৯৫ শতাংশ ও দুর্গাপুরে ৮০ শতাংশ এলাকা পানির নিচে রয়েছে। ১০টি উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত আট লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়ন ও জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ৬ উপজেলায় ২০৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ ঠাঁই নিয়েছে।

তবে বন্যাদুর্গতদের মধ্যে জেলা, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন। তবে জনসংখ্যার তুলনায় এসব ত্রাণ-সামগ্রী অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যাদুর্গতরা।

জেলার সাত উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় এলাকাগুলোতে রাতের বেলায় মোমবাতির আলো একমাত্র ভরসা। কিন্তু পানি ঢোকায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে। ফলে মোমবাতি ও দেশলাই কিনতে না পারায় ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলার বড়পারুয়া গ্রামের কাশেম মিয়া বলেন, তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতি ও দেশলাইয়ের চাহিদা বেড়ে। স্থানীয় বাজারে প্রয়োজনীয় মোমবাতি ও দেশলাইও পাওয়া যাচ্ছে না।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৭:০৭ | রবিবার, ১৯ জুন ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com