| রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
ঢাকা: কওমি মাদরাসার সরকারি স্বীকৃতি না দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’য়াত বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দশম সংসদ নির্বাচনে ১০ আসনের নির্বাচনের সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
শনিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে নেতারা এ দাবি জানান।
কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি না দেয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ‘এখন তারা (কওমিরা) ছোট বোমা বানায়, চাকরির সুযোগ পেলে বড় বোমা বানাবে।’
নারীর সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ার কারণে তারা হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমেদ সফীকে মোসলমান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাকে ৮০ বেত্রাঘাত করারও দাবি জানান নেতারা।
আহলে সুন্নাতের নেতারা আগামী নির্বাচনে ১০টি আসন দেয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারছে তাদের বিচার আপনারা করবেন। একজন মোসলমান হয়ে আরেক মোসলমানকে কীভাবে মারে?’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী এতো মানুষ খুন করেও খুশি নয়, উনি (খালেদা) জামায়াতকে বলেন, আরো বেশি করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেন না কেন? বিরোধী দলের আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত নেই। এ কারণে তারা পুড়িয়ে মানুষ মারছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্ষমতা দেয়া-নেয়ার মালিক আল্লাহ। আমরা মানুষের সেবা করার জন্য কাজ করছি। মহানবী (সা.) আমাদের এ শিক্ষা দিয়ে গেছেন।’
ইসলামের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, বিশ্ব ইজতেমার জমি দান, মসজিদভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালুসহ যতটুকু সম্ভব ইসলামের উন্নয়নে আমরা কাজ করেছি।’
আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’য়াতের নেতাদের আত্মার আত্মীয় হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে না তারা ইসলামে বিশ্বাসী নয়।’
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামিক ফ্রন্টের এমএ মান্নান, এমএ মতিন, মাওলানা জিয়াউল হাসান, সাইফুর রহমান নিজামী, সাইফুদ্দিন আহমেদ আল হাসামী মাইজভান্ডারি প্রমুখ।
Posted ০৩:১৩ | রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin