শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবজাতকের কানে আজান দেওয়ার বিধান

  |   বুধবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট

নবজাতকের কানে আজান দেওয়ার বিধান

আমেনা বেগম বিউটি : সন্তান-সন্ততি আল্লাহর বিশেষ দান ও অনুগ্রহ। আল্লাহপাক যাকে ইচ্ছা করেন তাকেই তিনি এই নিয়ামত দান করেন। সন্তান-সন্ততি যে কত বড় নিয়ামত, তা কেবল সেই দম্পতিই বুঝতে পারেন, যাদের আল্লাহ এই নিয়ামত দান করেন নি। পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, ‘তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা তাকে করে দেন বন্ধ্যা, তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান’(সূরা শূরা, আয়াত : ৪৯-৫০)

আল্লাহপাক যাকে এই নিয়ামত দান করেন সেই সৌভাগ্যবান। তাই তার কিছু করণীয় আছে। একটি উল্লেখযোগ্য করণীয় হচ্ছে, সন্তান-সন্ততি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে কানে আজান দেয়া। একটি হাদিসে হজরত আবু রাফে তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, ‘আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আলীর পুত্র হাসানের কানে নামাজের আজানের মত আজান দিতে দেখেছি, যখন ফাতেমা (রা.) তাকে জন্ম দেয় (তিরমিযী)

একজন নবজাতক ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে তার কানে আজান দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই বাচ্চা দুনিয়াতে এসেছে, সে যেন ইসলামের ওপর থাকে, ফেতরাতের ওপর থাকে। এ জন্য প্রথম ধ্বনি তার কানে যেন যায়, আল্লাহু আকবার, আল্লাহ সবচেয়ে বড় এবং সর্বশেষ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, এটাও যেন তার কানে যায়। আল্লাহর শাহাদাত, তাওহিদের সাক্ষ্য, রাসুলের রিসালাতের সাক্ষ্য, সালাতের সাক্ষ্য, কল্যাণের সাক্ষ্য-এগুলো সবই যেন নবজাতকের ওপর আসর করে, তার ওপর যেন প্রভাব পড়ে, এটাই শরিয়ত চায়।

সন্তান-সন্ততি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই আজান দিতে হবে। যেন তার কানে আল্লাহর মহত্ব বিষয়ক প্রথম আওয়াজ প্রবেশ করে এবং শয়তান তার থেকে দূরে চলে যায় ।
আজানের শব্দগুলো নবজাতকের কানের কাছে আস্তে আস্তে বলা উচিত। যেন আজানের শব্দগুলো তার কানে প্রবেশ করতে পারে। জোরে না বলা উচিত। অনেক বাড়িতে আজান দিয়ে বসে। এটা ভুল কাজ।

বাড়িতে আজান দেওয়াটা ঠিক নয়। বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আস্তে আস্তে তার কানের কাছে আজানের শব্দগুলো বলতে হবে। নবজাতক ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার কানের কাছে আজানের শব্দগুলো বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাকে সেই শব্দগুলো শোনানো, নামাজের জন্য ডাকা বা আহ্বান করা নয়। আর নবজাতককে এটা শোনানোর অর্থ হচ্ছে বাচ্চা যেন তাওহিদবাদী হয়, রাসুল (সা.)-এর রিসালাতকে যেন স্বীকার করে, দ্বীনের ওপর যেন থাকে, নামাজ আদায়কারী হয়, এটাই মূল উদ্দেশ্য। রাসুল (সা.) কী উদ্দেশ্যে কোন কাজটা করেছেন, সেটা জানলে আমাদের জন্য আমল করা সহজ হবে। সুতরাং বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ধীরে ধীরে আজানের শব্দগুলো বলতে হবে। জোরে নয়। কারণ, এটা করতে গিয়ে বাচ্চার ওপর যেন উল্টো প্রভাব না পড়ে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:১৭ | বুধবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com