ঢাকা, ২৪ এপ্রিল  : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দল। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, সামাজিক বৈষম্য দূর করার জন্য অথচ দেশ আজ শৃঙ্খলিত। তিনি বলেন, দেশের মানুষকে মুক্ত করতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় খালেদা জিয়া বলেন, আমি আগে বলেছিলাম, কেউ যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমার সঙ্গে না থাকে, আমি একাই আন্দোলন করবো। আমি এখন বিশ্বাস করি এই আন্দোলনে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারাও আমার সঙ্গে আছেন। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা আবার আন্দোলনে নামবো।

মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, আপনাদেরকে কাজ দিয়ে প্রমাণ করতে হবে, সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা দেশ রক্ষায় আবার আন্দোলনে নামবো।

জিয়াউর রহমানের ডাকে মানুষ সংগ্রাম করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। যারা (আওয়ামী লীগ) মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে তারা তো পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছিল। শহীদ জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে এ দেশের মানুষ দেশ স্বাধীন করেছে।

সভায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ অহঙ্কার জিয়াউর রহমান বীর উত্তম’ শীর্ষক এক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন খালেদা জিয়া।

মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আরএ গণি, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা শফীউজ্জামান খোকন, সাদেক আহমেদ খান, সৈয়দ হারুনুর রশীদ, মিজানুর রহমান খান বীরপ্রতীক, মোস্তফা শাহাবুদ্দীন রেজা, মো. আবুল হোসেন, মহীউদ্দিন আহমেদ শাজাহানসহ ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।