| মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের সম্পূর্ণ ব্যর্থ। নির্বাচন কমিশনকে ‘অযোগ্য’ ও ‘অপদার্থ’ আখ্যা দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি সদ্য সমাপ্ত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে দায়ী করেন।
হারুন বলেন, পহেলা ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সেই নির্বাচনে সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। দেশে যত জায়গায় নির্বাচন পরিচালনার বডি রয়েছে- তা পরিচালনার ক্ষেত্রে একটা কমিটি কার্যক্রমের ক্ষেত্রেও কমপক্ষে এক-তৃতীংশ উপস্থিতি লাগে। যেখানে এক-তৃতীংশ ভোটার উপস্থিত হয়নি, সেই নির্বাচন কি গ্রহণযোগ্য? এই নির্বাচনের কোনো বৈধতা আছে? যেখানে সিংহভাগ মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারল না, তাদের মতামত ও রায় দিতে পারল না। সেই নির্বাচনের কি গ্রহণযোগ্যতা আছে?
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন যে ফল দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে একটা সিটিতে মাত্র ২৪%, আরেকটিতে ২৭% ভোট পড়েছে।
আজকের পত্রিকায় বলা হয়েছে, ইভিএমে ফল পরিবর্তন করা হয়েছে। মানবজমিন-এর প্রথমেই এই নিউজ। ইভিএমের ফলাফলও পরিবর্তন হয়েছে। সংবিধান যখন প্রণয়ন করা হয়েছিল, তখন বাংলাদেশের কোথাও নির্বাচনে ৩০ ভাগের কম ভোটার উপস্থিতিতে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ছিল না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমল ছাড়া অতীতে কোনো সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বা জাতীয় নির্বাচনে ৫০ ভাগের কম ভোটের নজির নেই। যে কারণে মনে করি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণ করার ক্ষেত্রে টোটালি ব্যর্থ। অযোগ্য, অপদার্থ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত। জনগণকে এই অবস্থা থেকে অবিলম্বে মুক্তি দেবে বলে আশা রাখি।
Posted ২২:২৬ | মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain