| বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট
ধারণা করা হচ্ছিলো, পরাশক্তি রাশিয়ার আক্রমণের মুখে টিকতেই পারবে না ইউক্রেন। কিন্তু তা হয়নি। রুশ আগ্রাসনের দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনও দেশটির অধিকাংশ শহর ও অঞ্চলের দখলে রয়েছে ইউক্রেনের বাহিনী।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ, বন্দরনগরী মারিওপলসহ মূল শহরগুলোতে গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। সেইসঙ্গে চলছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও।
এতে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। প্রাণ যাচ্ছে শিশুসহ বেসামরিক মানুষের। ইউনিসেফ বলছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত ৩৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত এক ম্যাপে দেখা গেছে, সীমান্তের কাছে বেশ কিছু অঞ্চল ইতোমধ্যে দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
এরইমধ্যে খেরসন শহরটি ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতছাড়া হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেন সীমান্তের বেশ কিছু এলাকা দখলে নিয়েছে রাশিয়া। শহরগুলোর চারপাশ ঘিরে রেখে তারা হামলা অব্যহত রেখেছে।
মারিওপোল শহরে একটি শিশু হাসপাতালে রুশ বোমা হামলা হয়েছে। এতে শিশু ও প্রসূতি বিভাগসহ হাসপাতালটিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
কিয়েভের কিছু অংশ, খারকিভ, চেরনিহিভ, সুমি ও মারিওপোলে ১২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলে হাজার হাজার মানুষ এসব এলাকা ছাড়েন।
জাতিসংঘ বলছে, ইউক্রেন থেকে পালানো লোকের সংখ্যা ২০ লাখেরও বেশি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, কিয়েভের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে রুশ বাহিনীর অব্যাহত আক্রমণের মুখে সেখানে প্রচণ্ড লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আল জাজিরা জানায়, ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠাতে পোল্যান্ডের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাখ্যান করেছে পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এ যুদ্ধবিমান পাঠালে ইউক্রেন সংকট আরও জটিল হবে।
Posted ০৭:৩৮ | বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain