| বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০২০ | প্রিন্ট
দীর্ঘ ৭৮৭ দিন পর দলীয় কার্যালয় ছাড়লেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয় ছেড়ে যান তিনি। এখন থেকে দলীয় প্রয়োজনে যতটুকু সময় দরকার ততটুকু সময় কার্যালয়ে থাকবেন তিনি।
২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন রিজভী। সেসময় দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সাজা হয়।
এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হোটেল লা-মেরিডিয়ানে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন খালেদা জিয়া। এরপর একই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি গুলশানে নিজ কার্যালয়ে সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে শঙ্কা তৈরি হয়। সেই আশঙ্কা ও ধারণা হতে রিজভী নিজে থেকেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি দলীয় কার্যালয়েই অবস্থান নেবেন।
এতোদিন রিজভী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় ছোট একটি রুমে (সাড়ে ৪ বাই সাড়ে ৯ ফুট) কক্ষে রাতযাপন করে আসছিলেন। সেখানে নিয়মিত দলীয় নেতাকর্মীরা তার সাথে কুশল বিনিময় ও প্রয়োজনীয় কাজের জন্য যাতায়াত করতেন।
এই সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন রিজভী। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাজপথে ছোট-বড় পরিসরে হলেও শতাধিক মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। মিছিল করতে গিয়ে একাধিকবার সরকারি দলের লোকজন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। দুইবার আহত হয়েছেন তিনি।
গত ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপরই রিজভী সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি আর দলীয় কার্যালয়ে রাতযাপন করবেন না।
দলীয় কার্যালয় হতে চলে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রিজভী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমি আর কিছুক্ষণ পরে বিএনপির কার্যালয় থেকে বাসার উদ্দেশ্য রওনা দেবো।
তিনি বলেন, আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম যে, বেগম খালেদা জিয়া যতদিন পর্যন্ত অবৈধ সরকারের কারাগার হতে মুক্ত না হন ততদিন পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়েই থাকবো। কষ্ট করে থেকেছি। এই সময়ের মধ্যে আমি দলের হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থেকেছি। দেশনেত্রী কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় আমি চেষ্টা করেছি নেতাকর্মীদের পাশে থাকতে। তারা দলীয় কার্যালয়ে এসে যেন বিমুখ হয়ে চলে না যান।
Posted ১৫:১৫ | বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain