শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানের ১৫তম কারাবন্দি দিবস : যুক্তরাজ্যের তৃণমূল যুবদলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

  |   বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ ২০২১ | প্রিন্ট

তারেক রহমানের ১৫তম কারাবন্দি দিবস : যুক্তরাজ্যের তৃণমূল যুবদলের  ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল যুক্তরাজ্যের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের ১৫তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। যুক্তরাজ্য যুবদলের সিনিয়র সদস্য জনাব আসাব আলীর সভাপতিত্বে ও অন্যতম সহ সভাপতি সুরমান খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন লন্ডন মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আলী আহমেদ। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সোয়ালেহীন করিম চৌধুরী। যুক্তরাজ্য যুবদলের অন্যতম সিনিয়র সদস্য আব্দুল মুমিন চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাউথ ইস্ট লন্ডন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আকিব আলী শিবলু। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লায়েক মোস্তফা, যুক্তরাজ্য যুবদলের অন্যতম সিনিয়র সদস্য সৈয়দ মুরাদ আহমেদ, যুক্তরাজ্য যুবদলের অন্যতম সহ সভাপতি কবির মিয়া, অন্যতম সহ সভাপতি ও লন্ডন মহানগর যুবদলের সভাপতি আব্দুল খয়ের, যুক্তরাজ্য যুবদলের অন্যতম সিনিয়র নেতা দারা মিয়া, অন্যতম সিনিয়র সদস্য সাদিক চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা রাহেল আহমেদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোয়ালেহীন করিম চৌধুরী বলেন ৭ই মার্চ ২০০৭ বাংলার ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসাবে মঈন ফখর ও হাসিনার যোগসাজশে ১/১১ এর এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূত্রপাত ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ কোনো অভিযোগ ছাড়াই তৎকালীন সেনাসমর্থিত সরকারের নির্দেশে যৌথবাহিনী বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে। সেনাসমর্থিত সরকারের নির্দেশে দিনের পর দিন তাকে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়। টানা ৫৫৪ দিন কারাবাসের পর সরকারের সাজানো সবকটি মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়ে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মুক্তি পান।

জনাব সোয়ালেহীন আরো বলেন ৭ই মার্চ আরো বিভিন্ন কারণে আমাদের জাতীয় কলঙ্কের দিন। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্সের জনসভায় শেখ মুজিব বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষকে ধোকা দিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষ স্পষ্ট স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছিলো তখন তিনি তা পাশ কাটিয়ে জয় বাংলা জিয়ে পাকিস্তান বলে তার বক্তব্য শেষ করেন। শুধু তাই নয় ৭ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা হলে কোনো প্রকার রক্তপাত ছাড়াই হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা পাওয়া যেতো। কেননা তখনও পূর্ববাংলায় মাত্র ১২ হাজার পশ্চিমা সৈন্য ছিল। স্বাধীনতা ঘোষণা করে যুদ্ধের রাজনৈতিক নির্দেশ পেলে বেঙ্গল রেজিমেন্ট সহজেই পশ্চিমাদের পরাভূত করতে পারতো। আর তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ও লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ব্যতিরেকেই দেশটি স্বাধীন হতো। অথচ শেখ মুজিব ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে ভুট্টোর সাথে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত মিটিং করে বাংলার মানুষের উপর ম্যাসাকারের পটভূমি রচনা করে দিলেন।

তিনি বলেন ৭ই মার্চের কালো অধ্যায় এখানেই শেষ নয়। এর ঠিক ২ বছর পরে ঘটে দ্বিতীয় কলঙ্কেরর ঘটনাটি। ১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শেখ মুজিব পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাটি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি জনগনের ভোটের উপর আস্থা রাখতে পারেননি। প্রথমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হুমকি ধামকি এবং গুম খুনের ভয় দেখিয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১১জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বাদবাকি ২৮৯টি আসনে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনের নামে প্রহসন। এরমধ্যে ২৮২টি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য সেই ধারাবাহিকতা এখনও চলছে। লুট হয়ে গেছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব। বাংলাদেশের জনগন অধিকারহারা পরাধীন। এই লুটপাট ও দুঃশাসন মুক্ত করে গণতন্ত্র ফেরানোই ৭ই মার্চের আজকের আলোচনা সভার প্রধান প্রতিপাদ্য।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ ইমন, শিব্বির আহমেদ সুমন, ফলিক আহমেদ, শিপন চৌধুরী, আতাউর রহমান, জাহাঙ্গির আলম, কলিম উদ্দিন, সেলিম আহমেদ, সুমন আহমেদ, শাহীন মিয়া, মাহবুব হুসেন, কেমডেন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জলিল উদ্দিন চৌধুরী খোকন, লন্ডন মহানগর যুবদলের সেক্রেটারি খালেদ জামাল, সেন্ট্রাল লন্ডন যুবদলের সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী সামাদ, সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম, ইস্ট লন্ডন যুবদলের সভাপতি আব্দুর রহমান, ওয়েস্ট মিডল্যান্ড যুবদলের সভাপতি সুহেল আহমেদ, সেক্রেটারি আবুল কাছ চৌধুরী, লন্ডন সিটি যুবদলের সেক্রেটারি জাকির হোসেন, লন্ডন মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক, সেন্ট্রাল লন্ডন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মিলাদ হুসেন রুবেল, লন্ডন সিটি যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউল হক বেলাল, সেন্ট আলবান্স যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কয়েস, ওয়েস্ট মিডল্যান্ড যুবদলের শামীম খান, দেওয়ান উকিল প্রমুখ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০১:২০ | বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ ২০২১

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com