| মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের। একপর্যায়ে বৈঠক শেষ না করেই বেরিয়ে গেছেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ড. কামাল হোসেন কোনো কথা বলেননি। পরে সিইসির বিরুদ্ধে ‘অশোভন’ আচরণের অভিযোগ তুলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার ‘আচরণ’ দেখে এবং তাদের অভিযোগ না শোনায় সভা ত্যাগ করেন।
সভা থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর , সারা দেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। পুলিশ বিরোধী দলের ওপর চড়াও হচ্ছে। বিষয়গুলো প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানিয়েছি। কিন্তু তাঁর আচরণ দেখে মনে হয়েছে, তিনি এতে গুরুত্ব দেননি। এসব বিষয়ে তিনি গুরুত্ব দেখাননি। এমন আচরণ করেছেন যেন আমরা মিথ্যা অভিযোগ করেছি। এ অবস্থায় আমরা সভা বর্জন করে সেখান থেকে উঠে এসেছি।
তিনি বলেন, সরকার ও ইসি মিলে নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে। এখন সিদ্ধান্ত জনগণের হাতে।
বৈঠকের অপ্রীতিকর ঘটনা সম্পর্কে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন তার বক্তব্যে সিইসির উদ্দেশ্যে বলেন, সিইসি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারেন।পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুণ্ডা বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করছে। আমাদের প্রার্থীদের জীবনের দাম না থাকলেও কর্মীদের জীবনের দাম রয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে জানোয়ার-লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার এই লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনী আমাদের মিটিং-মিছিল কিছুই করতে দিচ্ছে না।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ড. কামাল হোসেনের এ কথার পর পরই ক্ষিপ্ত আচরণ করেন সিইসি।পুলিশের পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, আপনি এমন কী হয়েছেন যে, পুলিশকে লাঠিয়াল-জানোয়ার বলছেন? নিজেকে কী মনে করেন?
সিইসির ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, অভিযোগ জানানোর সময় আমরা ভেবেছিলাম সিইসি সহানুভূতি দেখাবেন। কিন্তু তিনি তাঁর ধারেকাছেও গেলেন না। উল্টো পুলিশের পক্ষ নিলেন। এরপর আর তার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন মনে করেন ড. কামাল হোসেন। তার নেতৃত্বে আমার বৈঠক ছেড়ে চলে আসি।
এ বিষয়ে সিইসি ও ইসি সচিবের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
Posted ২১:২৯ | মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain