| মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯ | প্রিন্ট
দল পরিচালনায় স্বেচ্ছাচারীসহ গঠনতন্ত্রবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে শোধরানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন দলটির ছয়জন জ্যেষ্ঠ নেতা।
ছয় জ্যেষ্ঠ নেতারা হলেন- গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল, জামাল উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট এসএম আলতাফ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এএ মাহমুদ। তারা সকলেই গণফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য।
জানা গেছে, চিঠিতে গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিস্বার্থে অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারী কায়দায় দল পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়েছে ড. কামালের বিরুদ্ধে। এছাড়া দলের নীতি, আদর্শ, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য বিসর্জন দিয়ে বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে ঐক্য করার অভিযোগও আনা হয়েছে।
চিঠিতে দলের বহু পরীক্ষিত নেতাদের কমিটি থেকে বাদ দেয়া এবং নির্বাচনের দুই/তিন/চার মাস আগে দলে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির বড় বড় পদ পাওয়া, আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতাদের গণফোরামে জায়গা দেয়ার বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে।এছাড়া উপদেষ্টামণ্ডলীর পদ গঠনতন্ত্রে না থাকা সত্ত্বেও এ পদ সৃষ্টির অভিযোগ করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখিত সমস্যা সমাধানে দলের সভাপতিকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছেন ছয় নেতা। এর মধ্যে সমাধান না হলে নিজেরা বিশেষ সভা আহ্বান করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।
জানা গেছে, ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশে ১২ অক্টোবর দুই পৃষ্ঠার চিঠি দেন এ ছয় নেতা। এতে ডিসেম্বরের মধ্যে বৃহত্তর কর্মিসভা (কনভেনশন) আহ্বান করে গণফোরামে গঠণতন্ত্রের ধারা এবং আদর্শ সমুন্নত রাখার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা গণফোরামের বর্তমান কমিটিকে অগণতান্ত্রিক এবং অনৈতিকভাবে দাবি করে দ্রুত কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল বলেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আমরা গণফোরাম প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। এটি আমাদের হাতে গড়া দল। দলটির কোনো ক্ষতি হোক আমরা তা চাই না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে নীতি, আদর্শ এবং উদ্দেশ্য নিয়ে গণফোরামের জন্ম হয়েছিল, দলটি এখন আর সে জায়গায় নেই। ড. কামালসহ কয়েকজন সুবিধাভোগী নেতা গণফোরামকে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গী বানিয়ে ফেলেছেন। আমরা লিখিতভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। যদি তারা না শুধরান, আমরা আমাদের মতো করে পথ চলব।
Posted ১৪:৫১ | মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain