নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
লিওনেল মেসি পিএসজির ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর মার্কিন ক্লাব ইন্টার মায়ামির নাম খুব কমই উচ্চারিত হয়। আলোচনা বেশি হচ্ছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ও সাবেক ক্লাব বার্সেলোনাকে নিয়ে। রেজিস্ট্রেশন জটিলতা থাকায় বার্সা ফেরার ভরসা পাচ্ছিলেন না মেসি।
অন্যদিকে, তিন ক্লাবের মধ্যে আল হিলালের প্রস্তাবটাও বেশি লোভনীয় ছিল মেসির জন্য। দুই বছরে প্রায় ৫০ কোটি ইউরো পারিশ্রমিক দিতে রাজি ছিল সৌদি আরবের ক্লাবটি। কিন্তু আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড টাকাকে খুব বেশি প্রাধান্য দেন না। সবসময় শুনেছেন নিজের ইচ্ছার কথাই। তাই আল হিলালের লোভনীয় প্রস্তাবটিও ফিরিয়ে দেন তিনি।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘সত্যিটা হলো টাকা কখনো আমার জন্য একদমই সমস্যা বা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আমরা এখনো চুক্তির বিষয়ে কথা বলতে পারিনি। প্রস্তাব (বার্সার পক্ষ থেকে) দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেটা আনুষ্ঠানিক বা লিখিত কিছুই ছিল না। কারণ তাতে এখনো কিছুই নেই এবং আমরা জানি না এটা সম্ভব হবে কি না।’
‘ফেরার উদ্দেশ্য ছিল, কিন্তু আমরা কোনো কিছুই এগিয়ে নিতে পারিনি। এমনকি টাকার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কথাও বলতে পারিনি আমরা। যদি টাকার ব্যাপার থাকত তাহলে আমি সৌদি আরব কিংবা অন্য কোথাও যেতাম। এটা (আল হিলালের প্রস্তাব) আমার কাছে অনেক টাকা মনে হয়েছিল। সত্যিটা হলো আমার সিদ্ধান্তটা টাকার জন্য নয়।’
বার্সার ছাড়ার পর পিএসজিতে দুই বছর কাটিয়েছেন মেসি। কিন্তু সময়টা সুখের ছিল না তার। প্যারিসিয়ানদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায় দুইবারই। আর বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মেসির প্রতি পিএসজি সমর্থকদের আচরণ আরও বেশি শত্রুভাবাপন্ন হতে শুরু করে। এমনকি শেষ ম্যাচে হারের পর সমর্থকদের দুয়োর কারণে বিদায়টাও ঠিকমতো নিতেপারেননি মেসি।
প্যারিসে থেকে নিজের প্যারিস জীবন নিয়ে আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘পিএসজিতে থাকা দুই বছরে আমি খুশি ছিলাম না, নিজেকে উপভোগ করিনি এবং সেটার প্রভাব আমার পারিবারিক জীবনেও পড়ে। বিশ্বকাপের সময় একটা অসাধারণ মাস কাটিয়েছি। কিন্তু সেটা বাদ দিলে সময়টা কঠিনই ছিল আমার জন্য।’ সূএ :বাংলাদেশ প্রতিদিন
Posted ০৬:৪৭ | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain