| বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া : কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৭ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়া নিয়ে সেই ভিডিও বক্তব্যটি প্রত্যাহার করে নিলেন অভিযোগকারী ছৈয়দ নুর। গত ২০ জানুয়ারী টইটংয়ের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরদ্ধে দেওয়া হাজী বাজারের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী নাপিতখালী পেন্ডারপাড়া এলাকার আবদু রহমানের ছেলে ছৈয়দ নুরের ভিডিও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়।
এ সময় টইটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে জড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী করা হয়েছে এমন বক্তব্য দেন ওই ব্যবসায়ী। এতে করে সাধারন মানুষের মাঝে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। টইটং ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে ওই বক্তব্য দেওয়া শিষ্টাচার বিবর্জিত বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। এ দিকে সৃষ্ট পরিস্থিতি ও বক্তব্য দেয়া নিয়ে বিব্রতকর অবস্থা তৈরী হয়। ওই বক্তব্য নিয়ে খোদ ছৈয়দ নুরের পরিবারেও এর বিরোধিতা করে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত ৭ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবীর বক্তব্য প্রত্যাহারে শুভ বুদ্ধির উদয় হয়।
২০ জানুয়ারী দেওয়া সেই ভিডিও বক্তব্যটি প্রত্যাহার করে নিলেন ছৈয়দ নুর ও তার পরিবার। ১৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্প্রতিবার বিকালে ছৈয়দ নুরের বক্তব্য সাংবাদিকের শরানাপন্ন হয়ে বক্তব্য প্রত্যাহারের ভিডিও বক্তব্য দিয়েছে। পেকুয়ার কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্যটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। ছৈয়দ নুরের পক্ষে তার পিতা আবদু রহমান ও ছোট ভাই জোবাইর আনুষ্টানিকভাবে গত ২০ জানুয়ারী প্রচারিত বক্তব্যটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। পিতা ও পুত্র যৌথ ভিডিও সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছৈয়দ নুরের দেওয়া ভিডিও বক্তব্যের পরিসমাপ্তি করেছেন। বৃহস্প্রতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) হাজী বাজারে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্টিত হয়েছে। বিকেলে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পেকুয়ার কর্মরত সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ছৈয়দ নুরের পিতা আবদু রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, আসলে একটু ভূল বুঝাবুঝি ছিল। চেয়ারম্যান বিচার করেছেন।
তিনি আমাদের অভিভাবক। আমার ছেলে অন্যায় করায় সামান্য রাগ করছিলেন চেয়ারম্যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলে ছৈয়দ নুর চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে কাল্পনিক ও অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন। আমি মর্মাহত ও দূঃখিত। একইভাবে আমরা ওই বিবৃতির কারনে অনুতপ্ত হয়েছি। চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থী। আমার ছেলে ভূল করেছে সেটি সে বুঝতে পেরেছে। আমাকে বলেছেন, তার পক্ষে দেওয়া সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে নিতে। চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আমার এক ছেলে জেলে গেছে।
আসলে আমার ছেলেটা নিরাপরাধ। আমরা পিতা-পুত্র কয়েকজন আসামী হয়ে গেছি। আমরা আসলে ব্যবসা বাণিজ্য করে চলি। জীবনে সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজে লিপ্ত নেই ও ছিলাম না। চেয়ারম্যান মহোদয়সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমুহকে বলছি আমরা ব্যবসা বাণিজ্য করে চলতে চাই। মামলার কারণে ব্যবসা বাণিজ্য থেমে গেছে। ১ মাস ধরে দোকানটি বন্ধ রয়েছে। এ ভাবে থাকলে সংসার কিভাবে চালাব। আমার ছেলে মেয়েরা কি খেয়ে বেঁচে থাকবে? আমি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা চাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক মাওলানা ফরিদুল আলম, পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার ফরিদুল আলম, ব্যবসায়ী কবির হোসাইন, নাছির উদ্দিন, বয়োবৃদ্ধ শফিকুর রহমানসহ আরো অনেকে।
Posted ২২:০২ | বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin