| রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও তার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়কে আরও পড়াশোনা করার পরামর্শ দিয়েয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, জয়ের বক্তব্য কখনো জাতিকে বিভ্রান্ত করে আবার জাতি উপভোগও করে। শিক্ষিত হলেও কোন বিশ্বাবিদ্যালয় থেকে তিনি গ্রেজুয়েট করেছেন তা আমরা জানি না।
রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
কানাডার আদালতের বিষয়ে সজিব ওয়াজেদ জয়ের দেওয়া বক্তব্যের বিষয় উল্লেখ করে রিজভী বলেন, কানাডার আদালতের রায়ের বিষয়ে তিনি পুরো গভীরে যাননি। সেই রায়ে যে আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী দল ও বাংলাদেশের রাজনীতি যে সহিংসপরায়ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেনেনি। এই যে ফার্স্ট স্টাডি। অর্ধেক পড়াশোনা করা। যা থেকে মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভিন্ন ধারণা সৃষ্টি হয়। আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয়কে আরো পড়াশোনা করে আসা উচিত।
সরকার লুটপাঠে মরিয়া হয়ে উঠেছে দাবি করে বিএনপিরেএ নেতা বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করার পরপরই বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জ্বালানী ও বিদ্যুও প্রতিমন্ত্রী। সরকার এখন লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই গণবিরোধী সকল কর্মকাণ্ডে তারা লিপ্ত হয়ে পড়ছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে সন্ত্রাসী বক্তব্য বলেও দাবি করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যাড ইমপ্যাক্ট খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সারা দেশের মানুষ এই ঘোষণার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। ইতোমধ্যে জনস্বার্থ পরিপন্থী এই ধরনের ঘোষণায় বাসভাড়া, বাড়িভাড়ার নোটিশ প্রদান শুরু হয়ে গেছে। দেশের শতকরা সাড়ে ৯৯ ভাগ মানুষ এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের মানুষের নিকট বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের কোন জবাবদিহি ও কর্তব্যবোধ নেই বলেই জনগণের ওপর জুলুম চালানো হচ্ছে, জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
গণবিরোধী ও জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড এবং গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতিআহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলো এখন মৃত্যুর মিছিল ও আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনার বলি হচ্ছে একেকটি তাজা প্রাণ। দিনের পর দিন সড়কে দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেলেও তাতে টনক নড়ছে না সরকারের। গতকালও ঢাকার নয়াবাজার এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সাদিয়া হাসান নামে ২২ বছরের এক মেডিকেল ছাত্রী নিহত হয়েছেন। এভাবে প্রতিদিনই দেশের সড়কে মহাসড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। বিরোধী দল দমন এবং লুটপাট, দখলবাজি, টেন্ডারবাজিতে ব্যস্ত থাকার কারণে বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন ও জবাবদিহিহীন সরকারের সড়ক দুর্ঘটনা সামাল দিতে কোন মাথাব্যথা নেই।
রিজভী বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে বলে সরকার দাবি করলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। পাল্লা দিয়ে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। সড়কগুলোতে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যাধিক্য সমগ্র দেশবাসীকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রেও কোনো নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। যার ফলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনি সম্পাদক রুহুল কদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সহ-সভাপতি মর্তাজুল করিম বাদরু প্রমুখ।
Posted ০৮:৪৫ | রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain