টেলিযোগাযোগ বলতে বোঝায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে যোগাযোগের উদ্দেশ্যে দূরবর্তী কোন স্থানে তথ্য বা বার্তা পাঠানো। এই যোগাযোগ তারের মাধ্যমে বা তারবিহীন প্রযুক্তি ব্যবহার করেও হতে পারে। শুরুতে টেলিফোনই ছিলো একমাত্র টেলিযোগাযোগ যন্ত্র।বর্তমানে ইন্টারনেট,টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি একত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাবহার লিখে প্রকাশ করার সাধ্য নেই। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মন্দ দিক থাকলেও এটি বর্তমান বিশ্বের জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ। যেমন ঘুর্ণিঝড় মোখার ভয়াবহতা কয়েকদিন ধরে জোরেসোরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ও পত্রিকাতে প্রচার প্রচরণার ফলে ঝর ভয়াবহতা নিয়ে সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দারা আতঙ্কে ছিলেন। ব্যাপক প্রচারণার কারণে দ্বীপের প্রায় ৬ হাজার বাসিন্দা আগেভাগে আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেন।ঘুর্নিঝড় মোখা ঘন্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার বেগে ৩ ঘন্টা ধরে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আঘাত করলো, ৯০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হলো কিন্তু ১ জন মানুষও মারা গেলো না।
এছাড়া করোনা মহামারীর সময় শিক্ষা,চিকিৎসা,ব্যাবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি সচল রেখেছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এ অনেক এগিয়ে, এর প্রধান কারণ হলো- মহাকাশে এখন রযেছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১।তাছাড়া দেশের আশিভাগ জনগোষ্ঠী ব্যবহার করছে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট। মানুষ ঘরে বসেই সরকারি ও বেসরকারি অনেক সেবা সহজেই পেয়ে যাচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আশানুরূপ নয় এখনও। যেমন উচ্চ গতির (ব্রডব্যান্ড) ও মান সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানে আরও অগ্রগতি দরকার। এই ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে পারলে মানুষের আয়, জীবনমান উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। প্রতি বছর ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস পালন করা হয় এবছরও পালিত হয়েছে।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৩ এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশগুলির ক্ষমতায়ন।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল সম্ভাবনা, দক্ষ জনবল তৈরি এবং একে সমাজ ও অর্থনীতির কল্যাণে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সকলকে সচেতন করাই দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য।
Like this:
Like Loading...
Related