| বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০১৪ | প্রিন্ট
রাকেশ রহমান
জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের প্রকৃত দেশ প্রেমিক , গণতন্ত্রের প্রবর্তক , একজন খাঁটি মুসলিম যিনি সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম সংযোজন করেছিলেন এবং তাঁর উদ্যোগে বাংলাদেশের সাথে মুসলিম দেশগুলোর সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৮০ ভাগই মুসলমান তাই তিনি চেষ্টা করেছিলেন মুসলিম বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নিজের দেশের ও মুসলিম জাতির একত্বতা তৈরি করতে।
তিনি নিজেও একজন নামাজী , খুবই সাধারণ, উদার ও অন্যায়ের প্রতিবাদী ছিলেন। ১৯৭১ সালে একজন স্বার্থপর নেতা যখন পুরো জাতির আবেগ নিয়ে খেলছিলেন ঠিক তখনই অপরিচিত একজন মেজর একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক দেশ ও জাতির স্বার্থে নিজের জীবনের চিন্তা না করে নিজ উদ্যোগে, নিজ হাতে লিখে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন এবং নিজেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলে ঘোষণা দিয়ে দেশ ও জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান। অপরদিকে জাতির স্বার্থ নিয়ে খেলা করা সুবিধাবাদী নেতা যিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিল সে পাবে কি পাবে না তথা পুরো পাকিস্থানের ক্ষমতা।
পারলেন না দিতে একটি চিঠি তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ২০/৩০ মিনিটের রাস্তা দূরত্বে অবস্থানরত দেশী বিদেশী সাংবাদিকদের । সে কিনা ঐ স্বাধীনতার ঘোষণাটি দিয়ে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামে। এটা কি বিশ্বাস যোগ্য? দেশের স্বার্থে জাতির প্রয়োজনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণায় বলেছিলন ” আমি রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমান ” এটাই সত্যি আর এটা ছাড়া কোন উপায়ও ছিলোনা । কিন্তু জিয়াউর রহমান আবারো যখন দেশের চরম ক্লান্তিলগ্নে সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলেন। পারতেন সব মুছে ফেলে নিজের নাম বড় করে ইতিহাসের পাতায় লিখে দিয়ে যেতে, তা তিনি করেন নি।
জীবনে কখনো বলেনও নি বরং সম্মান প্রদর্শন করেছেন সুবিধাবাদী নেতাদের। আর চালু করেছেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা। স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সংবাদ পরিবেশনার সকল সংবাদ মাধ্যমকে। দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন সেই সুবিধাবাদী নেতার কন্যাকে এবং আনার সময় বলেছিলেন নিজের জীবন দিয়ে হলেও সুবিধাবাদী কন্যার হেফাজত করবে। সুযোগ করে দিয়েছিলেন ঐ নেতার কন্যাদের রাজনীতি করতে। এরকম উদার নেতা কি আর আমরা পাবো ? এর ফলে কি ঘটলো… যেই মাসে ঐ সুবিধাবাদী নেতার কন্যা দেশে এলেন সেই মাসেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হলে জিয়াউর রহমানের হত্যার পরিকল্পনা করা হয় এবং জিয়াউর রহমান নিজেও জানতেন চট্টগ্রামে তার জীবনের হুমকি ছিল।
তারপরও দেশ ও জাতির স্বার্থে তিনি সেখানে কোন্দল থামাতে জান , গিয়ে শহীদ হন ৩০ শে মে তাঁকে হত্যা করা হয়। তাঁর জানাযায় রেকর্ড পরিমাণ মানুষ সমাগত হয়েছিল। এবং তাঁর ১৯- দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বলতে পারি জিয়াউর রহমানই এখন পর্যন্ত একজন বাংলাদেশের প্রকৃত দেশ প্রেমিক রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
রাকেশ রহমান : লেখক ও রাজনীতিবিদ,প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক বাংলাদেশ সত্যের শক্তি
Posted ১৭:৫৬ | বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin