| সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০২২ | প্রিন্ট
দেশে গুম-খুন-হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হলে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
তিনি বলেছেন, জিয়া পরিবার হলো খুনির পরিবার। সন্ত্রাসীর পরিবার। তাদের হাত বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, আইভি আপাসহ অনেকের রক্তে রঞ্জিত। এরা রাজনীতিতে থাকলে দেশকে আবার পেছনে নিয়ে যাবে।
আজ (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় জামায়াতের ২০ দল ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতির পিতার ৪৭ তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সভাটির আয়োজন করে ১৪ দলের শরিক গণ আজাদী লীগ।
জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোট ছাড়ার চলমান গুঞ্জন প্রসঙ্গে মোফাজ্জল হোসেন মায়া বলেন, ‘বিএনপিরে তালাক দিয়া একজন গেছেগা। হেরা (জামায়াত) বলে আগেই আমরা তালাক দিয়ে দিছি। বুঝলেন তো কারা?
বিএনপিকে ‘নালিশি দল’ আখ্যা দিয়ে মায়া বলেন, বিএনপি হলো নালিশি দল। যারা সকাল-বিকেল শুধু পায়ে ধরে। পায়ে ধরার দল হলো এটা। আর শুধু ষড়যন্ত্র করে। মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র আর নালিশ হলো তাদের মূল কাজ। জনগণের কাছে তারা যায় না। তারা পল্টন ও নয়াপল্টন এ দুই জায়গায় বসে একই বক্তব্য দেয়। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে হবে, এছাড়া আর কোনো কথা তারা বলে না।
সভায় জামায়াতের জোট ছাড়ার প্রসঙ্গটি সামনে এলে উপস্থিত সবার উদ্দেশে মায়া বলেন, হেগো নাম আমি মুখে আনতে চাই না।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া অভিযোগ করে বলেন, আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধ করি তখনই জিয়াউর রহমানরা কিন্তু স্বাধীনতার বিপক্ষে ভেতরে ভেতরে কাজ করছিলেন। তারা পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ঘাপটি মারা অবস্থায় ছিলেন।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে জিয়াউর রহমানরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। এরপর জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। এ হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান তার হাতকে রক্তে রঞ্জিত করেছেন। এরপরও যখন তারা দেখলো তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না, তখন তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেল হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার ছেড়ে তারেক রহমান শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। দেশের মানুষের দোয়ায় স্বয়ং আল্লাহ সেদিন (২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা) শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু আইভি আপাসহ ২২ জনকে সেদিন তারা হত্যা করেছে।
বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুসহ ১৪ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
Posted ১১:২৭ | সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain