| শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট
দেশের সামগ্রিক উন্নয়নই তার সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে আমাদের সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত নিনা ভাসকুনলাতি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন
বাংলাদেশ উচ্চ মানসম্পন্ন চামড়া এবং চামড়াজাত দ্রব্য প্রস্তুত করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফিনল্যান্ড চাইলে এখান থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ জিডিপি বেড়ে ৮ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রবেশ এবং কক্সবাজারে আশ্রয় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের সংখ্যা বর্তমানে স্থানীয়দেরকেও ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ কেবল মানবতার স্বার্থে তাদের সব দুর্ভোগ বরণ করে নিয়েছে।
এসময় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ বাসভূমে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত নিনা ভাসকুনলাতি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এ সময় বিগত নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ উন্নয়নেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, দু’টি দেশের মধ্যে আগামী মে মাসে ফরেন অফিস কনসালটেন্সি অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং ফিনল্যান্ডের অনারারী কনসাল জেনারেল আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১২:২৯ | শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain