শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জটিল পরিস্থিতিতে পড়তে পারে পাকিস্তান সংস্কারের পর নির্বাচন: জারদারি

  |   বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২ | প্রিন্ট

জটিল পরিস্থিতিতে পড়তে পারে পাকিস্তান সংস্কারের পর নির্বাচন: জারদারি

অবশেষে মুখ খুললেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) ভাইস প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত ইমরান খান যখন নির্বাচন দেয়ার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন, তখন জারদারি বললেন- বর্তমান জোট সরকার নির্বাচন বিষয়ক সংস্কার এবং ন্যাশনাল একাউন্টেবলিটি ব্যুরো (এনএবি) আইন সংশোধন করার পরেই শুধু নির্বাচন হবে। তিনি আরও বলেন, আইএমএফের কর্মসূচি ফেরত আনা না গেলে পাকিস্তানের অর্থনীতি কঠিন ও জটিল পরিস্থিতিতে পড়তে পারে। বুধবার তিনি করাচিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে জারদারি বলেন, আইনকে পরিবর্তন করে তার উন্নতি করতে হবে। তারপরই নির্বাচন। এতে তিন বা চার মাস সময় লাগতে পারে। এ নিয়ে তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএলএন) প্রধান মিয়া নওয়াজ শরীফের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। নওয়াজকে তিনি বুঝিয়েছেন যে, যত তাড়াতাড়ি সংস্কার শেষ হবে তখনই নির্বাচনে যাবে পাকিস্তান। সাবেক প্রেসিডেন্ট জারদারি বলেন, ভোটের অধিকার এবং বিদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের বিষয়ে কোনো ইস্যু নেই জোট সরকারের।

তিনি বলেন, এই প্রথমবার অরাজনৈতিক অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়াকে স্যালুট দেয়া উচিত নাকি তার সঙ্গে লড়াই করা উচিত। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। অনাস্থা ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা জেনে ভালো লেগেছে যে, সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ অবস্থায় থাকতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সেনাবাহিনী অব্যাহতভাবে অরাজনৈতিক থাকবে। যেকোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে তা সমাধান করা যাবে জাতীয় প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে।

পদত্যাগ করা ইমরান খান পাকিস্তানের বিচার বিভাগের সমালোচনা করেছেন। এ বিষয়ে জারদারি বলেন, তিনি কখনো বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান নি। তিনি বলেন, সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফ  আমাকে ৫ বছর জেলে রেখেছিল। কিন্তু আমরা তার বাড়িতে হামলা করিনি। আমি বলেছি, মোশাররফকে জীবিত দেখতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি প্রতিষ্ঠানকে তার মতো কাজ করতে দেয়া উচিত এবং এক্ষেত্রে তাদেরকে সাহায্য করা উচিত আমাদের।

জারদারি অভিযোগ করেন, পিটিআই সরকারের সময়ে ব্যুরোক্রেসি অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ধ্বংস করে দিয়েছে। এমনকি এমন সম্পর্ক ছিলই না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করবে ক্ষমতাসীন সরকার। নিজের বিরোধীদেরকে মীরজাফর এবং মীর সাদিক বলে ইমরান খান সমালোচনা করেছেন। এরও জবাব দিয়েছেন জারদারি। তিনি বলেছেন, যদি কেউ দেশ চালাতে পারে, সে আমরা। ইমরান খান নন। তার পুরনো বন্ধুরা তাকে ত্যাগ করেছে। কারণ, তিনি তাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি।

অর্থনৈতিক সংকট ইস্যুতে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, তেলের দাম অনেক বেশি। এ জন্য দেশে একটি সংলাপ প্রয়োজন। সৌদি আরবের ক্ষমতাসীন পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের। যদি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফের কর্মসূচিকে ফেরত আনা না যায়, তাহলে পাকিস্তান জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০২:৩৫ | বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com