বুধবার ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

গ্রেনেড হামলার রায় নিয়ে কূটচাল ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যেই পরিষ্কার

  |   শনিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট

গ্রেনেড হামলার রায় নিয়ে কূটচাল ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যেই পরিষ্কার

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ‍রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন, একুশে আগস্ট মামলার রায় হলে সংকটে পড়বে বিএনপি। তার বক্তব্যেই পরিষ্কার যে, তারা নীল নকশা অনুযায়ী একুশে আগস্টের বোমা হামলা মামলার রায় নিয়ে আগাম কাজ করছেন এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কূটচাল চালছেন।’

শনিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী নেতাদের বক্তব্য শুনে মনে হয় একুশে আগস্টের রায়কে প্রভাবিত করার জন্য তারা উঠে পড়ে লেগেছেন। মামলার রায় নিজেরা লিখে তা আদালতকে দিয়ে বাস্তবায়ন করাবেন কিনা মানুষের মনে সে সংশয়ও দেখা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন নেতাদের বক্তব্য শুনে মনে হয় একটি ফরমায়েশি রায় হতে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ গ্রেনেড হামলা মামলা নিয়ে রাজনীতি করছে দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, তাদের আন্দোলনের ফসল মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের সময়ও এ মামলার চার্জশিটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ছিল না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাদের দলীয় লোক কাহার আকন্দকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়।

‘কাহার আকন্দ পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থেকে অবসরে গিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এমনকি ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তাকে পুলিশ বিভাগে ফের নিয়োগ দিয়ে এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা করা হয় ২০০৯ সালে।’

রিজভী আরও বলেন, দলীয় চেতনার তদন্ত কর্মকর্তা কাহার আকন্দকে নিয়োগ দেয়ার উদ্দেশ্যই ছিল এ মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো। পরে ২০১১ সালে তারেক রহমানের নাম সম্পূরক চার্জশিটে অর্ন্তভুক্ত করে শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয়।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালে ১/১১ এর সময় ১৬৪ ধারায় মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে তারেক রহমানের নাম ছিল না। শুধু এ মামলায় তারেক রহমানের নাম বলানোর জন্য অন্য মামলায় ৪১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয় মুফতি হান্নানকে।

‘মুফতি হান্নানের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তারেক রহমানকে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসানোর জন্য পুরস্কার হিসেবে কাহার আকন্দের বারবার পদোন্নতিসহ চাকরির মেয়াদ বেড়েছে,’ যোগ করেন রিজভী।

বিএনপির এ নেতা বলেন, ২০০৮ সালের ১১ জুন বর্তমান আইজিপি ও তৎকালীন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জাবেদ পাটোয়ারীর তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালায় হরকাতুল জিহাদ। মুফতি হান্নানই পরিকল্পনাকারী। মওলানা তাজউদ্দিন গ্রেনেড সরবরাহকারী। হামলার পরিকল্পনা হয় ১৯ আগস্ট।

‘জাবেদ পাটোয়ারীর তদন্ত প্রতিবেদনে কোথাও তারেক রহমান বা বিএনপির নাম নেই, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের সাহেবরা নীলনকশা পূরণে তাদের নিজেদের আইজিপির প্রতিবেদনকেও অগ্রাহ্য করা দুরভিসন্ধিমূলক।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:০০ | শনিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com