বৃহস্পতিবার ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

  |   বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট

গাজীপুরে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন


মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক), গাজীপুর : গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দূর্বাটি এলাকায় এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ ও অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। ১৭ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ রায় দেন।

নিহত সাজেদা (২৮) কালীগঞ্জ উপজেলার দূর্বাটি গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী নবী হোসেনের স্ত্রী। দন্ডিত আলমগীর হোসেন (৩১), কালীগঞ্জ উপজেলার ছোট দেউলিয়া এলাকার সফুর উদ্দিনের ছেলে।

গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, রায়ে মামলার একটি ধারায় আলমগীরকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ড অপর একটি ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আরেক ধারায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

গাজীপুর আদালতের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ আতাউর রহমান মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত ২০০৮ সালের ৫ আগস্ট রাত ৯ টার দিকে রাতের খাবার সেরে গৃহবধূ সাজেদা তার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে তাদের টিনের ছাপড়া ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১১টার সময় নিহতের ছেলে মোঃ আরিফের ডাক-চিৎকার শুনে নবী হোসেনের বড় ভাই নজরুল ইসলাম ও তার স্বজনরা ঘরে গিয়ে সাজেদার রক্তাক্ত লাশ ও তার মেয়ে সাগরিকাকে (ধারালো অস্ত্রের আঘাতে) আহতাবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে পড়ে দেখেন। এসময় তারা ঘরের মেঝেতে সিধকাটা এবং রক্তাক্ত ছেঁনি, রড, শাবল দেখতে পান। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাসুর নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার এক মাস আগে সাজেদার স্বামী চাকরি করতে মালয়েশিয়া চলে গিয়েছিলেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এসআই মোঃ জহির হোসেন এলাকায় সোর্স লাগিয়ে আলমগীরকে গ্রেফতার করেন। এসআই জহির দীর্ঘ তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে আলমগীরের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে অসৎ উদ্দেশ্যে আলমগীর সংগোপনে সিদ কাটিয়া ঘরের ভেতরে ঢুকে। এসময় আলমগীরকে চিনে ফেলায় ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে গৃহবধূ সাজেদাকে হত্যা এবং তার মেয়ে সাগরিকাকে আহত করে পালিয়ে যায়।

১১ জনের সাক্ষ্য শেষে বুধবার দুপুরে আদালতের বিচারক আলমগীরকে ওই দন্ডাদেশ দিয়েছে। রায় ঘোষণাকালে আলমগীর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন গাজীপুর আদালতের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ আতাউর রহমান, এডভোকেট মোঃ আব্দুল করিম, এডভোকেট মোঃ মকবুল হোসেন কাজল এবং আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট মাহমুদুর রহমান খান।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:১৪ | বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com