| শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক), গাজীপুর : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা আকস্মিকভাবে গাজীপুর কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকায় অবস্থিত কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন।
পরিদর্শনকালে তিনি ওই কেন্দ্রের নিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি নিবাসীদের এ কেন্দ্রে আসার কারণ, মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পরে তিনি নিবাসীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, তাদের থাকার স্থান পরিদর্শন করেন।
প্রধান বিচারপতি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শংকর সরণ সাহাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শংকর সরণ সাহা জানান, পরিদর্শকালে প্রধান বিচারপতি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি কেন্দ্রের সব নিবাসীর মধ্যে কে কয়দিন ধরে, কি মামলায় এ নিবাসে রয়েছে তার খোঁজ-খবর নেন। এ ছাড়া তিনি তাদের মামলার যাবতীয় তথ্য তার দপ্তরে পাঠানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আবুল ফজল মোঃ আমান উল্লাহ জানান, এ কেন্দ্রে ১৫০ জন নিবাসীর আসন রয়েছে। বর্তমানে ১০৯ জন নিবাসী রয়েছে। এর মধ্যে বিচারাধীন হত্যা মামলায় একজন, চুরি মামলায় একজন, মানবপাচার মামলায় দুজন, মাদকদ্রব্য আইনে একজন, সাজাপ্রাপ্ত একজন, ভিকটিম ৫২ জন এবং নিরাপদ হেফাজতি ৫১ জন।
তিনি আরো জানান, এ নিবাসীদের মধ্যে ১৪ জন বাক প্রতিবন্ধী, সাতজন মানসিক প্রতিবন্ধী, একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী, ৯ বছরের নিচে শিশু ১১ জন এবং ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ২২ জন নিবাসী (সেফহোম) রয়েছে। কেন্দ্রের নিবাসীদের স্কুল শাখায় ২৫ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ করছে। এছাড়া এমব্রয়ডারি শাখায় ৩৪ জন এবং সেলাই শাখায় ৩৫জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক জানান, কেন্দ্র শুরু হতে এ পর্যন্ত ১০৫টি অভিভাবক কেস, এক হাজার ৮৬৬ টি জি আর কেস রয়েছে। এ সময়ে মুক্তি প্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা এক হাজার ৮৬২ জন।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা।
এ সময় কেন্দ্রের আবাসন ব্যবস্থা, খাবারের মান ও দুটি ট্রেডের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এ সময় কিশোরদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিভিন্ন অভিযোগও শোনেন প্রধান বিচারপতি।
টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ শাহ জাহান জানান, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোরদের রাখার সময় বয়স, অপরাধ এবং বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা ও সাজাপ্রাপ্তদের শ্রেণীবিভাগ করে সে অনুযায়ী রাখা হয়েছে। তবে শুরু থেকে এখন পযর্ন্ত টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে লোকবলের সংকট রয়েছে।
Posted ০৬:৪৭ | শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin